নিম্নচাপের গতিবিধিতে ফের পথ পরিবর্তনের সম্ভাবনা। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি-ভাগ্যও আবার মার খেতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মায়ানমার উপকূলে এসে প্রচলিত অভিমুখ পাল্টে ফেলেছিল। শনিবার মুখ ঘুরিয়েছিল ওড়িশা উপকূলের দিকে। সোমবার তা ওড়িশার স্থলভূমিতে ঢুকে পড়েছে। আবহবিজ্ঞানীদের অনুমান, এ বার সেটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে রওনা হবে। এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে সে আবার চেনা ছকের বাইরে হাঁটতে পারে। তাতে উত্তরবঙ্গের কপাল খুললেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিতে টান ধরার সমূহ সম্ভাবনা। কী রকম?
আবহবিদদের ব্যাখ্যা: প্রচলিত পথ ধরলে বাংলার আকাশ থেকে নিম্নচাপের সরে যাওয়া উচিত পশ্চিমে, অর্থাৎ ছত্তীসগঢ়ের দিকে। কিন্তু বায়ুপ্রবাহের হেরফেরের দরুণ এ বার সে রকমটা হবেই, তার নিশ্চয়তা নেই। বরং ছত্তীসগঢ়ের পথ ভুলে সেটি উত্তর-পূর্বে মুখ ঘোরাতে পারে, উত্তরবঙ্গ হয়ে পাড়ি দিতে পারে অসমের দিকে। সে ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি শুরু হবে। উপরন্তু নিম্নচাপ উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে উত্তর-পূর্বে পা রাখলে সেখানকার আবহ-পরিস্থিতি বর্ষা আগমনের অনুকূল হয়ে উঠবে। তা তখন মায়ানমার দিয়ে ঢোকা মৌসুমি বায়ুর শাখাটিকে টেনে আনবে নিজের দিকে। যত তাড়াতাড়ি নিম্নচাপ উত্তরবঙ্গ হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঢুকবে, উত্তর-পূর্বে দ্রুত বর্ষা আসার সম্ভাবনা তত বাড়বে। অন্য দিকে হিতে বিপরীত হবে দক্ষিণবঙ্গে। নিম্নচাপ গতি বাড়িয়ে উত্তরবঙ্গে ঢুকলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ক্রমশ কমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদেরা।