ভরা গ্রীষ্মে জমজমাট দার্জিলিং। কিন্তু জলকষ্টে দুর্ভোগে পড়ছেন পর্যটকেরা।
তৃণমূলের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দূরত্ব বাড়লেও আপাতত বন্ধ, অবরোধের পথে হাঁটবেন না বলে ঘোষণা করেছেন জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। তাই সমতলে তীব্র গরমে দার্জিলিং পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি। এমন অবস্থা যে, ম্যাল চৌরাস্তায় পা রাখার জায়গা নেই। চিড়িয়াখানার সামনে টিকিটের লম্বা লাইন। ভাড়ায় গাড়ি নিতে গেলেও লাইন। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। হোটেলে, সরকারি-বেসরকারি অতিথি নিবাসে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কোনও জায়গা নেই।
কিন্তু বেশিরভাগ হোটেলেই কমবেশি জলকষ্ট চলছে। খাবার জল থাকলেও স্নানের জলের অভাব রয়েছে অনেক হোটেলে। রাজ্য পর্যটন দফতরের এক কর্তা জানান, জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ পর্যটকদের সমস্যার দিকগুলি দেখছে। মোর্চা নেতা তথা দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান অমর রাই স্বীকার করেছেন, জলকষ্টে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকেরা। সিঞ্চল লেক থেকে জল আসে দার্জিলিঙে। তিনি বলেন, “এখন সুখা মরসুম চলছে। সে জন্য জলের জোগান কম। অধিকাংশ ঝোরায় তেমন জল নেই। সিঞ্চল লেকেও জল কম। তাই পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।” হোটেল মালিক সংগঠনের এক কর্তা জানান, গড়ে প্রতিটি হোটেলকে কয়েক হাজার টাকার জল কিনতে হচ্ছে। তাতেও কুলোচ্ছে না।