ছ’ঘণ্টায় হিমালয়ের আকাশে মোট পাঁচ বার পাক খেয়ে তল্লাশি চালাল হেলিকপ্টার। কাঞ্চনজঙ্ঘায় হারিয়ে যাওয়া ছন্দারা এখনও নিখোঁজ।
উদ্ধার কার্য নিয়ে নানা টানাপড়েন, রাজ্য সরকারের পাঠানো বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে ছন্দা গায়েনের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনা বাগপাড়ায় গায়েন-বাড়িতে ছুটে যাওয়া-সহ নানা ঘটনার পর অবশেষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে এ দিন সকাল থেকে হেলিকপ্টারে করে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোট পাঁচ বার পাক খেয়েছে কপ্টারটি। তুষার ঝড় ও ধসের জায়গাটির ভিডিও ফুটেজ তুলেছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই মেলেনি। নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থা সূত্রের খবর, ছন্দার সঙ্গেই কাঞ্চনজঙ্ঘায় ওঠা রাজীব ভট্টাচার্যকে এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কাঠমান্ডু নিয়ে এসেছেন রাজ্য থেকে যাওয়া পর্বতারোহীরা। রাজীববাবুর পায়ে ফার্স্ট ডিগ্রি ফ্রস্ট বাইট হয়েছে।
এ দিন নবান্নে যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, আবহাওয়া ভাল থাকায় সকাল ৬টা ১০ থেকে এ দিন হেলিকপ্টারে করে তল্লাশি শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাশি শেরপা। বেলা প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। কিন্তু ফের তুষারপাত শুরু হওয়ায় ফিরে আসতে হয়। মন্ত্রী জানান, যে জায়গায় তুষার ধসে ছন্দা সহ দুই শেরপা হারিয়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গা চিহ্নিত করেন তাশি। আন্দাজ করা যায়, হাজার মিটারেরও বেশি নীচ পর্যন্ত নেমেছিল ধস। কিন্তু সেই জায়গাটি সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা। অরূপবাবু বলেন, “ছন্দা যে হলুদ রঙের পাহাড়ে চড়ার পোশাক বা ডাঙরি পরে ছিল, তা মাথায় রেখেই খোঁজ চলেছে। গোটা জায়গার ছবি ও ভিডিও তুলে তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।” মন্ত্রী জানান, মাস খানেক আগে ৫ জন পর্বতারোহী ওই একই জায়গায় তুষার ধসে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁদের খোঁজে ৬ জনের একটি কোরীয় দল গত এক মাস ধরে তল্লাশি চালিয়ে শনিবারই বেসক্যাম্পে ফিরে এসেছে। তাঁরাও কিছুই পাননি।