অভাবের সংসার ও অদম্য জেদ শুক্রবার এই দুইয়েই মিলে গেল কাটোয়া থেকে কোচবিহার। দত্তপুকুরের রিয়া ঘোষের স্বপ্ন কোথাও যেন এক হয়ে গেল মালদহের দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে!
সাড়ে তিন বছর বয়সে মাকে হারিয়েছেন রিয়া। বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। জেঠামশাই জয়দেব ঘোষই সন্তানস্নেহে বড় করেছেন ভাইঝিকে। কিন্তু জয়দেববাবুরও তো কায়ক্লেশে চলে সংসার। অন্যের জমিতে চাষ করেই দুই ছেলেমেয়ের সঙ্গে রিয়াকে বড় করেছেন তিনি। রিয়াও ভালবাসার মর্যাদা দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান দখল করে।
রোজ দত্তপুকুরের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, বারাসতের কালীকৃষ্ণ গার্লস স্কুল সাইকেলে যাতায়াত করতেন রিয়া। পড়াশোনায় জন্য বরাদ্দ থাকত মাত্র তিন ঘণ্টা। তাতেই পদার্থবিদ্যায় ১০০। মোট নম্বর ৪৬৮। আপাতত লক্ষ্য ডাক্তারি পড়া। রিয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বীথিকা দত্ত বলেন, “রিয়ার কষ্টের কাহিনি জানি। আজ ওর জন্য আমরা গর্বিত।” গর্বিত জেঠামশাই জয়দেববাবুও। বলছেন, “রাজ্যে মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এখন মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়াটাই আসল প্রতিবাদ।” তাই যত কষ্টই হোক, ভাইঝিকে ডাক্তারি পড়াতে চান তিনি।