প্রথমে নারাজ হয়েও দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে দলের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে একেবারে রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নিতে চাইছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান! তাঁর কথায়, “যে ভাবে দলের কাজকর্ম চলছে, সেটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।”
শেষ পর্যন্ত মান্নান যদি সত্যিই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, লোকসভা ভোটে একলা লড়তে নামার আগেই ফের ধাক্কা খেতে হবে কংগ্রেসকে।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে এ বার গোড়া থেকেই নারাজ ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। প্রাক্তন বিধায়ক মান্নানও সেই মতের প্রবক্তা। জোট না-থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিতে হবে কংগ্রেসকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী চেয়েছিলেন, কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে দলের পরিচিত সব নেতাই প্রার্থী হোন। কিন্তু মান্নান ছাড়াও দুই প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ও মানস ভুঁইয়া তাতে রাজি হননি। পরে দিল্লিতে এই নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের লড়ার উপর জোর দেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। তার পরেও প্রদীপবাবু ও মানসবাবু না-লড়ার ব্যাপারে অনড় থাকলেও প্রার্থী হতে রাজি হন মান্নান। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না-হলেও শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর কথা। মান্নানের সমর্থনে শ্রীরামপুরে দেওয়াল লেখাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেওয়াল লিখন-সহ তাঁর প্রচারের যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখতে কর্মীদের বলে দিয়েছেন মান্নান। তাঁর ক্ষোভের কথা বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বকে মান্নান ই-মেল করে জানিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।