রাতদুপুরে বিকট শব্দ। পড়শিরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, একটি ঘরের পাকা ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ বাসুদেবপুর বাজারে পুলিশ ক্যাম্প থেকে ২০ মিটার দূরে সুনীল চৌধুরী নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাড়া দেওয়া গুদামে ওই বিস্ফোরণ হয়। খাগড়াগড় এবং মালদহের ইংরেজবাজার ও বৈষ্ণবনগরের মতো এ ক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। বিস্ফোরণের ৬ ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে যান সামশেরগঞ্জ থানার ওসি। এই সময় পেয়ে তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বহু জিনিসই দুষ্কৃতীরা সরিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলেরই স্থানীয় নেতারা।
চৌধুরী পরিবারের সকলেই তৃণমূল করলেও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভাল নয়। লোকসভা ভোটের আগে ফরাক্কায় প্রচারে এসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চ থেকে চৌধুরী পরিবারের সকলকেই দলীয় পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি তথা সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস এ দিন বলেন, “সুনীলবাবু ও তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলের কর্মী। তবে সুনীলবাবু কোনও পদে নেই। তাঁর বাড়িতেই মজুত রাখা বোমা ফেটেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলবাবু বছর কয়েক আগে ওই ঘরটি ভাড়া দিয়েছিলেন এক বিড়ি কোম্পানিকে। যদিও ঘরের চাবি থাকে সুনীলবাবুর কাছেই। সন্ধ্যার পর ওই ঘরটি চৌধুরী পরিবার তাঁদের গাড়ি রাখতে ব্যবহার করত। পাশেই রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প, তৃণমূলের একটি কার্যালয়ও।