মন্ত্রী জানান, এর মূল কারণ, কিছু সংস্থা প্রবেশকর দেওয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এই ধরনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে হেরে রাজ্য সরকার আপিল করেছে ডিভিশন বেঞ্চে। বিহার, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্যও প্রবেশকর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, চুঙ্গিকর তুলে দেওয়ার পরে রাজ্যে নতুন করে প্রবেশকর চালু করার ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অমিতবাবু অবশ্য বিরোধীদের এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, যে-সব রাজ্যে প্রবেশকর চালু আছে, সেখানে দুই, তিন, এমনকী বিহারে আট শতাংশ হারেও এই কর আদায় করা হয়। কিন্তু এ রাজ্যে মাত্র এক শতাংশ হারে প্রবেশকর আদায়ের নিয়ম চালু করা হয়েছে।
কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় জানতে চান, সরকার দাবি করে আসছে, প্রবেশকর বাবদ পাওয়া রাজস্ব বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে খরচ করা হয়। কিন্তু কোন উন্নয়নমূলক কাজে এই অর্থ ব্যয় করা হবে, তা স্থির করেন কে? অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা স্থির করা হয়। প্রবেশকরের টাকা রাস্তা তৈরিতে খরচ করা হচ্ছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং, হাওড়া জেলায় ওই করের টাকায় অনেক রাস্তার কাজ চলছে।