মন্ত্রীর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর আংশিক বকেয়া বেতনের আশ্বাস মিলল ঠিকই। কিন্তু বিন্দুমাত্রও আশার আলো দেখা গেল না কারখানার তালা খোলা নিয়ে। ফলে কাজ বন্ধের (সাসপেনশন অব ওয়ার্ক) নোটিসই আপাতত লটকে থাকছে হিন্দুস্তান মোটরসের উত্তরপাড়া কারখানার দরজায়। ঝুলে থাকছে তার ২,৬০০ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ভবিষ্যৎ। গভীর অনিশ্চয়তার মুখে বেশ কিছু দিন ধরে ধুঁকতে থাকা অ্যাম্বাসাডরের ভবিষ্যৎও। যাকে রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের ‘স্বপ্নের মৃত্যু’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে শিল্পমহলের একাংশ।
গত শনিবার উত্তরপাড়া কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিস ঝোলায় হিন্দুস্তান মোটরস। সেই সমস্যা মেটাতে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার মহাকরণে কর্তৃপক্ষকে ডেকেছিলেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। বৈঠক শেষে তাঁর দাবি, সোমবারের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া বেতনের একটা অংশ আগাম হিসেবে মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতেও দাবি, তিন-চার দিনের মধ্যে ওই টাকা মেটাতে রাজি তাঁরা।
কিন্তু প্রাপ্তি হয়তো ওইটুকুই। কারণ, কারখানা ফের দ্রুত চালু করা নিয়ে এ দিন আদৌ ইতিবাচক শোনায়নি মন্ত্রীর গলা। যদিও তিনি বলেছেন, “বন্ধ শিল্পের দরজা খোলার আগ্রহ আমাদের রয়েছে।” দাবি করেছেন, রাজ্য চায় না যে, এক সময় মেটাল বক্স বা গেস্ট কিন উইলিয়ামসের মতো ঐতিহ্যবাহী সংস্থার যে পরিণতি হয়েছে, হিন্দ মোটরেরও তা হোক। মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, “একে চালু রাখতে রাজ্য যত দূর সম্ভব চেষ্টা করবে।”