মধ্যরাতে কলকাতা শাসন করতেন চার যুবক! সে অবশ্য শক্তি চট্টোপাধ্যায়দের দামাল জমানার কথা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে মধ্যরাতের কলকাতায় জমিয়ে বসলেন ১১ জন প্রবীণ! যাঁদের রাজ্যপাট এখন অতীত। ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টায় যাঁরা আপাতত রাস্তায় রাত জাগছেন। প্রহরারত কিছু পুলিশ-কর্মী ক্লান্ত চোখে সাক্ষী থাকলেন মধ্যরাতে তাঁদেরই অভূতপূর্ব কর্মকাণ্ডের!
কলকাতার রাজপথে রাত ২টো ২০ মিনিটে বামফ্রন্টের বৈঠক বসালেন বিমান বসু! শাসক দলের সন্ত্রাস বন্ধ করা-সহ ১০ দফা দাবিতে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বামফ্রন্টের তিন দিনের ধর্না-অবস্থান চলছে বলে রাজ্যের বাম নেতারা পথেই আছেন। সেখান থেকেই সব শরিক দলের নেতাদের ডেকে নিয়ে বুধবার মাঝরাতে বামফ্রন্টের জরুরি বৈঠক সেরে নিয়েছেন বিমানবাবু। এর আগে লক্ষ্মীপুজো বা কালীপুজোর দিন সকালে বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকে অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। কিন্তু মাঝরাতে ফ্রন্ট বৈঠকের কৃতিত্ব বিরল! মুখ্যমন্ত্রী মমতা মহাকরণে তাঁর প্রথম দিনে মন্ত্রিসভার বৈঠক চালিয়েছিলেন রাত সওয়া ১২টা পর্যন্ত। বিমানবাবু সেই রেকর্ডকেও ম্লান করে ছেড়েছেন!
এবং এ বার কিন্তু কেউ ক্ষুণ্ণ, বিরক্ত নন। বরং, ফ্রন্টের সহকর্মীরা পুলকিতই হয়েছেন চেয়ারম্যানের ‘এনার্জি’ দেখে! ছয়ের দশকে বহু উত্তাল আন্দোলনের সৈনিক, সিপিএমের অধুনা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এক বর্ষীয়ান নেতার কথায়, “বিমানদা’র এই কৃতিত্ব কিন্তু ইতিহাসে ওঠার মতো!” কলকাতা জেলার আর এক নেতার মন্তব্য, “পার্টি যখন আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল, তখনও রাত আড়াইটেয় কোনও মিটিং হয়েছে বলে শুনিনি!”