নতুন জামাইয়ের আবদার বলে কথা! তা-ও সোনাদানা নয়, নেহাতই বিনা পয়সার একটা পাস। ভোর থাকতে বসিরহাট থানায় তাই হত্যে দিয়েছিলেন শ্বশুর কল্লোল বসু (নাম পরিবর্তিত)। “ইডেনের একটা পাস দিন। জামাই বলছে, পাস না পেলে জামাইষষ্ঠীর আসনেই বসবে না।”
কল্লোলবাবু বসিরহাটের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক কর্মী। সকলে এক ডাকে চেনে। একমাত্র মেয়ের সবে বিয়ে হয়েছে। নতুন জামাইকে একখানা পাস জোগাড় করে দিতে না পারলে মান থাকে না। তাঁর কাতর প্রার্থনায় বিব্রত থানার পুলিশ অফিসারেরাও। পাস দেবেন কোথা থেকে? বসিরহাট থানায় তো ইডেনের কোনও পাসই আসেনি। আরও উৎসাহী যুবক এসে ভিড় জমিয়েছে থানায়। মাথাটাথা চুলকে পুলিশকর্মীরা ঠিক করেন, সাদা কাগজে নাম-পরিচয় লিখে থানার সই-সিল মেরে দেওয়া হবে সকলকে।
কিন্তু ওই কাগজ দেখালে ঢুকতে দেবে কি? ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক বয়স্ক কনস্টেবল। বাকিদের দাবড়ানিতে দমে গেলেন। বসিরহাট থানার আইসি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘নাছোড় মানুষকে বোঝানোই যায়নি, আমাদের থানায় কোনও পাস আসেনি। তাই শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনের নাম-পরিচয় লিখে থানা থেকে সই-সিল মেরে ছেড়ে দিই।”