কেস ডায়েরিতে তথ্যপ্রমাণের অভাবেই আদালতে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আলিপুর হামলার অভিযুক্তরা বেরিয়ে এসে দাবি করলেন, পুলিশ তাঁদের ভুলিয়েভালিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমে এ সব কথা বললে ফের ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
শাকিল, পাপ্পু, রেজ্জাক, সৌমেন এবং ছোটু আলিপুর থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় এই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পাঁচ জনেই জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধেয় আলিপুর আদালত চত্বরে পুলিশ লকআপের সামনে দাঁড়িয়ে মহম্মদ শাকিল অভিযোগ করলেন, “থানায় ভাঙচুর করা তো দূর, ওখানে যে কিছু হয়েছে, তা-ই জানতাম না। টিভি দেখার সময় কোথায়! কোর্টে উকিলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। পুলিশ ভুলিয়েভালিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিল।”
পেশায় ঠিকাশ্রমিক শাকিল-পাপ্পু দু’জনেই দাবি করলেন, ১৪ নভেম্বর দুপুরে সিডি কিনতে খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটে গিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন মহম্মদ রেজ্জাকও। এর পরে সন্ধে ৬টা নাগাদ তাঁরা নিজস্ব প্রয়োজনে আলিপুর আদালতে এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যান। শাকিলের কথায়, “হঠাৎ কয়েক জন পুলিশ অফিসার এসে আমাদের থানায় যেতে বলেন। কারণ জানতে চাইলে কিছুতেই বললেন না। গাড়িতে চাপিয়ে আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে আমাদের ঠায় বসিয়ে রাখা হল। আরও দু’জনকেও সেখানে আনা হয়েছিল।” শাকিলের বক্তব্য, খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে থানার অফিসাররা আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সারা রাত আটকে রেখে পরের দিন আদালত থেকে তাঁদের জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।