নতুন রূপে সেজেছে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ ৬ বছরের ধুলো ঝেড়ে শুক্রবার থেকে নতুন চেহারায় করোনার চিকিৎসার জন্য চালু হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। থাকবে আউটডোর পরিষেবাও।
প্রায় ৬ দশকেরও বেশি পুরনো ওই হাসপাতাল। ২০০১ সালে দায়িত্ব নিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। সে সময় থেকেই ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে হাসপাতালের পরিষেবা। ২০১৪ সালে আচমকা জেলা পরিষদের তরফে নোটিস জারি করে জানানো হয় যে গোবরডাঙা হাসপাতালে আপাতত বন্ধ করা হল ইন্ডোর পরিষেবা। ব্যস, তারপর থেকে গোবরডাঙার বাসিন্দারা বঞ্চিত ছিলেন ওই হাসপাতালটির পরিষেবা থেকে। সেই ধূসর অতীত মুছে এ বার চালু হচ্ছে হাসপাতাল। তাতে আশায় বুক বাঁধছে গোবরডাঙাবাসী।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই গ্রামীণ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি থাকছে আউটডোর পরিষেবাও। এ জন্য ৫ জন চিকিৎসক, ৭ জন জন নার্স ছাড়াও ২৪ জন গ্রুপ ডি কর্মীকেও নিযুক্ত করা হয়েছে। করোনার চিকিৎসার জন্য থাকছে ২০টি শয্যা। গত কয়েক বছর অব্যবহারের কারণে ভেঙে পড়েছিল হাসপাতালের পরিকাঠামো। প্রায় ২ মাস ধরে পরিকাঠামো সংস্কারের পর এখন ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল।
গোবরডাঙার পুর প্রসাশক সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘হাসপাতালের দাবিতে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করেছিলেন। আমিও তাতে শামিল হয়েছিলাম। এই হাসপাতালটিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’’
গোবরডাডা হাসপাতালের ইনচার্জ নীলাঞ্জনা বিশ্বাস কর্মকার বলছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হচ্ছে। মানুষকে পরিষেবা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব। স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালটির দায়িত্ব নেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন আগামী দিনে, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হয়ে ওঠুক ওই কেন্দ্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy