বরুণের দিদি প্রমীলা রায়।—নিজস্ব চিত্র।
সুটিয়ার প্রতিবাদী যুবক বরুণ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘হাত আছে’ বলে অভিযোগ করলেন বরুণের দিদি প্রমীলা রায়। রবিবার গাইঘাটার ফুলসরা পাঁচপোতায় ‘আক্রান্ত আমরা’-র সভা মঞ্চে এ কথা বলেন তিনি। পুলিশের উপরে তাঁদের ভরসা নেই বলেই এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করছেন না বলে জানান প্রমীলা। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করে তিনি আরও বলেন, “এ সব কথা বলার জন্য আমরাও খুন হয়ে যেতে পারি।”
২০০০-এর গোড়ার দিকে সুটিয়ায় একের পর এক গণধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যার বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে আন্দোলনে নামেন। ধরা পড়ে সুশান্ত চৌধুরী-সহ কয়েক জন দুষ্কৃতী। আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন বরুণ। কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনের বাংলার শিক্ষক বরুণ ছিলেন গণধর্ষণের একাধিক মামলার মূল সাক্ষীও। ২০১২-এর ৫ জুলাই গোবরডাঙা স্টেশনের বাইরে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সিআইডি ৬ জনকে ধরে। সিআইডি জানায়, পুরনো আক্রোশেই দমদম জেলে বসে বরুণকে খুনের ছক কষে সুশান্ত। বরুণকে খুনের ঘটনায় বনগাঁ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। কিন্তু সেখানে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের যোগসূত্রের উল্লেখ নেই।
তা হলে খোদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বরুণের দিদি এমন অভিযোগ করছেন কীসের ভিত্তিতে? প্রমীলা পরে বলেন, “এ কথা প্রথম বলছি তা নয়। আগেও বলেছি। আসলে এলাকার কিছু খাল-নদী সংস্কারের টাকা নয়ছয় করা হয়। ভাই প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ ওর উপরে খেপে গিয়েছিল। সে জন্যই খুন হতে হয়েছে ভাইকে।”
কী বলছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু? মন্ত্রী বলেন, “আগেও ওই পরিবার এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন। তখন মানহানির অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওঁরা উত্তর দেননি। এ বার ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা ঠুকব।” তাঁর আরও বক্তব্য, “ওই পরিবারটি বরুণকে নিয়ে ব্যবসা করছে। বরুণের নামে কোটি কোটি টাকা উঠেছে। খুনিরা সাজা পাক আমরাও চাই। কিন্তু ওঁরা বরুণকে মার্টিন লুথার কিং কিংবা নেলসন ম্যান্ডেলা বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy