Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদা নিয়ে জুলুম, নালিশ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

দুর্গা পুজোর চাঁদার দাবিতে রীতিমতো স্কুলে চড়াও হয়ে কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাগদা থানার চরমণ্ডল এলাকার একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটিও ওই এলাকায়। স্কুল চত্বরেই মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকার উপরেই চাঁদার জুলুম বেশি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫৩
Share: Save:

দুর্গা পুজোর চাঁদার দাবিতে রীতিমতো স্কুলে চড়াও হয়ে কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাগদা থানার চরমণ্ডল এলাকার একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটিও ওই এলাকায়। স্কুল চত্বরেই মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এমন কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকার উপরেই চাঁদার জুলুম বেশি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাউকে কাউকে ৫ হাজার টাকারও বিল ধরানো হয়েছে। যাঁরা দীর্ঘ দিন চাকরি করছেন, তাঁদের চাঁদা তুলনায় কম। এক শিক্ষিকা বলেন, “ওই ক্লাবের তরফে বলা হয়েছে, স্কুলে আসতে হলে চাঁদা দিতে হবে। না দিলে দেখে নেওয়া হবে। দাবি মতো চাঁদা না দিলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও শাসিয়ে গিয়েছে ওরা।” ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ আবার স্কুলের পরিচালন সমিতিতে রয়েছেন বলেও জানা গেল। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন বলে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ।

ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, পুলিশে অভিযোগ করার সাহস দেখাননি তাঁরা। কারণ, সারা বছর তো যাতায়াত করে চাকরি বাঁচাতে হবে!

চাঁদা না দেওয়ায় স্কুলে গেট আটকে রাখা হয়েছিল, এক শিক্ষিকাকে ঢোকার সময়ে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পড়ুয়ারা বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টির জেরে স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হয়েছে। গোলমালের আশঙ্কায় খবর পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলেও যায়। যে ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার সম্পাদক দিলীপ বালা ওই স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সদস্য। তিনি স্থানীয় সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যও। অভিযোগ অস্বীকার করে দিলীপবাবু বলেন, “জোর করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে না। কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আমাকে ডেকেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারও কাছ থেকে জোর করে চাঁদা নেওয়া হবে না।” বিল কাটার বিষয়ে তিনি জানান, বিল কাটা হয়েছে বলেই ওই টাকা দিতে হবে এমন দাবি কেউ করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE