ফুটবল টুর্নামেন্টে স্কুলের দল বাদ পড়ায় স্কুল-গেটে তালা ঝুলিয়ে, প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল এক দল ছাত্র।
মিড ডে মিলের চালে পোকা থেকে শুরু করে স্কুলের পরিকাঠামোর অভাব, টোকাটুকিতে বাধা দেওয়া হাজারটা কারণে স্কুলে স্কুলে এমন বিক্ষোভের সাক্ষী এ রাজ্য। তবে বৃহস্পতিবার বাদুড়িয়ার মহেশপুর সর্বপল্লি হাইস্কুলে যে কারণে ঘেরাও হলেন প্রধান শিক্ষক, তা এক কথায় নজিরবিহীন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে তাদের আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সাহানওয়াজ আহমেদ অবশ্য বলেন, “বহিরাগতদের নিয়ে ফুটবল দল করলে আখেরে স্কুলের বদনাম। ছাত্রদের বারণ করা সত্ত্বেও তারা বহিরাগতদের নিয়ে ফুটবল দল করায় প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে।” এ জন্য ক্রীড়াশিক্ষককেও দুষেছেন তিনি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করে ক্রীড়াশিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, বহিরাগত কাউকে নিয়ে খেলতে যাওয়া হয়নি। আসলে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য স্কুলের যে সব ছেলেদের খেলার কথা, তাদের নাম ও ছবি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সই-সহ ফর্ম পূরণ জরুরি ছিল। প্রধান শিক্ষক তা করেননি। উদ্যোক্তারা চেয়েছিলেন, প্রধান শিক্ষক অন্তত মাঠে এসে খেলার আগে সই-সহ খেলোয়াড়দের তালিকা জমা দিন। খবর দেওয়া সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক আসেননি। যে কারণে তিনি ছেলেদের নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন রাজ্জাক। প্রতিযোগিতায় আর যোগ দিতে পারেনি এই স্কুলের ছেলেরা। প্রধান শিক্ষকের অবশ্য দাবি, স্কুলের কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি মাঠে যেতে পারেননি।