ভুটভুটি ডুবির পরে চার দিনের মাথায় উদ্ধার হল দু’টি দেহ। তবে কোন ডুবুরি কিংবা প্রশাসনের কর্মীদের চেষ্টায় নয়, মঙ্গলবার সকালে দেহ দু’টির একটি সন্দেশখালির আতাপুর গ্রামে রায়মঙ্গল নদী এবং অন্যটি বেড়মজুর গ্রামে বেতনী নদীর চরে আটকে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, একটি দেহ বেড়মজুর গ্রামের বিকাশ মণ্ডলের (২৬)। অন্য দেহটি দ্বারিকজঙ্গলের দু’মাসের শিশু সায়ন দাসের। দেহ পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছেন।
শনিবার সন্দেশখালির যন্ত্রচালিত ভুটভুটিটি ন্যাজাট থেকে যাচ্ছিল কাঠখালি গ্রামের দিকে। প্রচুর যাত্রী তো ছিলেনই, ইমারতি সরঞ্জামও তোলা হয়েছিল ভুটভুটিতে। বেড়মজুরের দিকে যাওয়ার সময়ে মসজিদবাড়ি দক্ষিণপাড়ার এলাকায় ভুটভুটি বেসামাল হয়ে এক দিকে কাত হয়ে পড়ে। উল্টেও যায়। তলিয়ে যান অনেকে।
নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে ধন্দ আছে। প্রশাসনের মতে, ৪ জন নিখোঁজ। এলাকার মানুষের দাবি, প্রায় পনেরো জনের খোঁজ নেই। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভুটভুটিটি বহু দিনের পুরনো। ইঞ্জিনও ছিল যথেষ্ট কমজোরি। তা সত্ত্বেও ইমারতি দ্রব্য, মুদিখানার মাল তোলা হয়েছিল যাত্রিবোঝাই ভুটভুটিতে। জনা পঞ্চাশ যাত্রী ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় ঘটে। ভুটভুটির মালিক বা চালক অবশ্য এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবে দেরিতে হলেও মঙ্গলবার থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত যাত্রী কিম্বা জিনিশপত্র ভুটভুটিতে তোলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ন্যাজাট ফেরিঘাট এলাকায় মাইক প্রচার করা হয়েছে।