স্কুলসূত্রের খবর, প্রাকপ্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি ওই স্কুলে ১৪৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন। ২০০৬ সালে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বিনোদকৃষ্ণ রায় ওই স্কুলে যোগ দেন। কয়েকটি বাক্য বলার পরেই তাঁর কথা জড়িয়ে যায়। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। স্নায়ুর সমস্যাও রয়েছে। কয়েক মাস ধরে তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাইপো বরুণও স্কুলে আসা শুরু করেন। তিনি বসে থাকতেন। বরুণ পড়াতেন। বিনোদকৃষ্ণবাবু জানান, ১৯৯৯ সালে প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। প্রথমে পড়াতেন বনগাঁর গাঁড়াপোতা এলাকার একটি স্কুলে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেই এই সিদ্ধান্ত। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক (টিচার ইন চার্জ) প্রদীপ বিশ্বাসের ব্যাখ্যা, “পড়ুয়ারা বরুণের পড়ানো ভালো বুঝতে পারে। তাই অভিভাবকেরাও ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। পড়ুয়াদের স্বার্থেই বিষয়টি উচ্চমহলে জানানো হয়নি।’’
যদিও দীপায়নবাবুর বক্তব্য, “আইন অনুযায়ী, কোনও ভাবেই কারওর হয়ে এ ভাবে পড়ানো যায় না। আর স্থানীয় ভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াও যায় না। গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
স্কুল ও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার স্কুলে যাওয়ার পরে দীপ তার বন্ধু অপুর সঙ্গে খেলা করছিল। খেলতে খেলতে দরজায় ধাক্কা খায় অপু। কানে এবং কপালে চোট পায়। অভিযোগ, এরপরেই ক্লাসে ঢুকে দীপকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারে বরুণ। পড়ুয়াদের দাবি, পড়া না পারলেই মারধর করতেন বরুণ। অভিভাবকেরা এই বেআইনি কাজে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।বিনোদবাবুর অবশ্য ব্যাখ্যা, “আমি স্কুলে আসিনি, অথচ ভাইপো পড়িয়েছে, এমনটা কখনও হয়নি।’’
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।