খুনের হুমকি দিয়ে বধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দু’জনের বিরুদ্ধে। সম্পর্কে তারা আবার শ্যালক-ভগ্নীপতি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার খাঁপুকুর গ্রামে। অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ মণ্ডল এবং হরিপদ দাসকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। অসুস্থ বধূর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। হাসনাবাদ থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী বলেন, “গ্রাম ছাড়লেও খুব শীঘ্রই দু’জনকে গ্রেফতার করা হবে।”
পুলিশের কাছে দায়ের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই গ্রামের বাসিন্দা বধূর স্বামী ঘটনার রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে প্রতিবেশী কৃষ্ণপদ তাঁদের বাড়িতে ঢুকে বধূকে খুনের হুমকি দিয়ে অপহরণ করে এলাকারই একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছিল হরিপদ। ওই বধূ পুলিশকে জানান, বছর পঁয়ত্রিশের দুই যুবক রাতভর তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে অত্যাচার চালায়। কাউকে কিছু বললে খুনেরও হুমকি দেয় তারা। ভোরের দিকে মহিলাকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে কোনও রকমে বাড়ি ফেরেন তিনি। স্বামী বাড়ি এলে তাঁকে সব বলেন। সোমবার স্বামী-স্ত্রী কৃষ্ণপদ এবং হরিপদর বিরুদ্ধে থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই অবশ্য এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্তেরা।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, কৃষ্ণপদ কলকাতার একটি মুড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করে। কালীপুজো উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিল। তার শ্যালক হরিপদ দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক দিন ধরে নানা অছিলায় তারা ওই বধূর সঙ্গে আপত্তিকর ভাবে মেলামেশার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। তিনি পাত্তা না দেওয়ায় সম্ভবত তারা সুযোগ খুঁজছিল। ঘটনার রাতে পাড়ার অন্যদের সঙ্গে কালী প্রতিমার বিসর্জন দেখতে যান ওই বধূ। সে সময়ে তাঁর পিছু নেয় দুষ্কৃতীরা। বিসর্জন শেষে সকলে যে যার বাড়ি ফিরে গেলে ওই বধূর বাড়িতে হাজির হয় কৃষ্ণপদ। পরিচিত হওয়ায় ওই যুবককে মহিলাই দরজা খুলে দিয়েছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। সেই সুযোগেই তাঁর উপরে হামলা হয়।