শুক্রবার দুপুরে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন প্রতিবাদী মঞ্চের প্রধান উপদেষ্টা প্রাক্তন শিক্ষক জীতেন্দ্রনাথ বালা। একটি স্মরণ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিবাদী মঞ্চের তরফে জানানো হয়, বার বার আমন্ত্রণ জানানো হলেও এ দিন বরুণের পরিবারের তরফে কেউ অনুষ্ঠানে আসেননি।
কিছু দিন আগেও প্রতিবাদী মঞ্চের তরফে আয়োজিত বরুণের স্মরণসভায় পরিবারের কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে বরুণের দাদা অসীত বিশ্বাস বলেন, “যে ফাইবারের মূর্তিটি বসানো হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই তার থেকে চটলা উঠে যাবে। একটা হাস্যকর জিনিসে পরিণত হবে। প্রচার পাওয়ার জন্যই এটি বসানো হয়েছে। ওই মূর্তির মাধ্যমে বরুণের মানবিক যে চরিত্র ছিল, তাকে অসম্মান করা হয়েছে। সে কারণেই আমরা যাইনি।” অসীতবাবু জানিয়েছেন, শীঘ্রই ইতালির শ্বেত পাথরে তৈরি বরুণের একটি মূর্তি বাড়িতে বসানো হবে।
এ দিনই কলকাতার কেশব সেন স্ট্রিটে ‘বরুণ বিশ্বাস স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র তরফে একটি অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করা হয়েছে। যেখানে গরিব দুঃস্থ পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বিনা খরচে কম্পিটারের মাধ্যমে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে বলে অসিতবাবু জানিয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, “বরুণ বিশ্বাস স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বরুণ যে সামাজিক কাজ করতেন, যেমন গরিব পরিবারের মেয়ের বিয়ে দেওয়া, লেখাপড়ার খরচ চালানো, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এ সব আমরা আগামী দিনেও করে যেতে চাই। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতে চান, সেই দান আমরা গ্রহণ করব।”
প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বরুণের পরিবারের সদস্যেরা ঠিক মতো সাক্ষী দিচ্ছেন না বলেই বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি, ননীগোপালবাবুর দাবি, বরুণের খুনিরা যাতে শাস্তি পায়, সে জন্য তাঁদের আন্দোলন চলবে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মীরাতুন নাহার, শাশ্বতী ঘোষ-সহ অনেকে। মীরাতুন বলেন, “বরুণ বেঁচে থাকা অবস্থায় তাঁর জন্মদিন পালন করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আজ তাঁর মৃত্যুর পরেও এত মানুষ এখানে এসেছেন দেখে ভাল লাগছে।’’