কোথাও চাহিদাটা ইটভাটার। কোথাও নিচু জমি উঁচু করার প্রয়োজন। দু’টি ক্ষেত্রেই মাটি কেনার ক্রেতা আছে। আর ক্রেতা যখন আছে, বেআইনি হলেও সেই ব্যবসায় দু’পয়সা কামাতে চাইবে অনেকেই।
এ ভাবেই বারাসত ১ ও ২ ব্লকে চলছে মাটি কাটার ব্যবসা। শীত পড়ার আগে যখন মাটি শুকনো থাকে, তখন কাজও চলে জোরকদমে। তবে সারা বছরই চাহিদা থাকায় মাটি-বোঝাই ডাম্পারের (মাটি বহনের গাড়ি) ছুটোছুটি দেখা যায় এই সব এলাকায়। আর ডাম্পারের ধাক্কায় দুর্ঘটনাও ঘটে আকছার। সোমবারই যেমন মারা গিয়েছেন বাদুড়িয়ার বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস নামে এক যুবক।
বিভিন্ন এলাকার মানুষের অভিযোগ, তৃণমূল এবং পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের মদতে মাটি কাটার বেআইনি ব্যবসা চলে। বারাসত ২ ব্লকের শাসন এলাকায় এখন যেমন চলছে মাটি কাটার মরসুম। এ সময়ে ভেড়ির জল শুকোতে শুরু করে। এ সময় মাটি নরম থাকে। কেটে নিতেও সুবিধা। পেল্লায় সাইজের মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকছে এলাকায়। মঙ্গলবারও মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকেছে শাসনে। শতাধিক ডাম্পারও ঢুকছে পাল্লা দিয়ে। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটিতেই বেআইনি ভাবে মাটি কাটার কাজ চলে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে শাসন, ফলতি বেলিয়াঘাটা, দাদপুর, কীর্তিপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকা। শুধু ভেড়িই নয়, কৃষি জমির মাটিও কাটা হয়। কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমাটি এলাকায় উঁচু কৃষি জমি কাটার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসনের মিতপুকুরিয়াতেও শুরু হয়েছে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার কাজ।