বৃহন্নলার সঙ্গে প্রেম জমে উঠেছিল স্থানীয় এক যুবকের। সঙ্গীসাথীদের ওজর-আপত্তি সত্ত্বেও প্রেমিককে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বসেন প্রেমিকা ওই বৃহন্নলা। আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য জোরাজুরি শুরু করে ওই যুবক। অভিযোগ, তা নিয়েই তর্কাতর্কির জেরে বুধবার সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে পালিয়েছে বছর তেইশের হাসানুর মণ্ডল। বছর পঁয়ত্রিশের প্রেমিকা আপাতত বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। হাসানুরের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে তারা। পুলিশ জানায়, গত কয়েক বছর ধরে কয়েক জন বৃহন্নলা বসিরহাট স্টেশনের কাছে বসির শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভাড়াটেদের ব্যবহার নিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ তোলেননি বসির। বছর দেড়েক ধরে বৃহন্নলাদের এক জনের সঙ্গে সোলাদানার বাসিন্দা হাসানুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। তাতে প্রাথমিক ভাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন বৃহন্নলার বাকি সঙ্গীরা। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘অনেক বার ওকে বুঝিয়েছিলাম, বেশির ভাগ লোক আমাদের পছন্দ করে না। নানা ভাবে ঠকায়। প্রেমের ফাঁদে পড়িস না। কিন্তু ও শোনেনি।’’ বৃহন্নলারা জানিয়েছেন, দিনের পর দিন ওই যুবক বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। ধীরে ধীরে তার উপরে বিশ্বাসও জন্মায় বাকিদের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃহন্নলা জানিয়েছেন, প্রেম যত গাঢ় হয়, নানা অছিলায় টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করে প্রেমিক। এই ভাবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা তাকে দিয়েও বসেন প্রেমিকা। মাস দেড়েক আগে একটি মোটর বাইকও কিনে দেন হাসানুরকে। কিন্তু তাতেও ছেলেটির চাহিদা মেটেনি। ওই বৃহন্নলা জানিয়েছেন, কিছু দিন ধরে ব্যবসা করতে চেয়ে আরও ৫০ হাজার টাকার দাবিতে জোরাজুরি শুরু করে প্রেমিক। এই নিয়েই বুধবার সন্ধ্যায় দু’জনের তর্কাতর্কি বাধে। পাশের ঘরে তখন বৃহন্নলার সঙ্গীসাথীরাও ছিলেন। কিন্তু মাঝে মধ্যে প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়া শুনে তাঁরা অভ্যস্ত। ফলে কেউই গা করেননি। গোলমাল বাড়তে থাকায় বাড়িওয়ালা বসির শেখের স্ত্রী এগিয়ে আসেন। সন্দেহ হওয়ায় তিনি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকেন। ওই মহিলা জানান, ঘরে ঢুকে দেখেন চারি দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ওই বৃহন্নলার বুকের উপরে বসে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাচ্ছে হাসানুর। ঘর থেকে ছুটে বেরোতে যায় যুবক। বসিরের স্ত্রীকে সে ধাক্কা মেরে ফেলে পালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy