Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Fish

জালে ধরা পড়ল ১৪০ কেজির নোড়ে ভোলা, কুলপিতে বিক্রি হল ১২ লাখে

রাতারাতি ভাগ্য ফিরল কয়েক জন মৎস্যজীবীর। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার আবারও তাঁদের জালে ধরা পড়লে ১৪০টি নোড়ে ভোলা মাছ। ওই মাছগুলির ওজন ১,৬০০ কেজিরও বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে।

উদ্ধার হওয়া নোড়ে ভোলা মাছ।

উদ্ধার হওয়া নোড়ে ভোলা মাছ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলপি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৭:২৫
Share: Save:

রাতারাতি ভাগ্য ফিরল কয়েক জন মৎস্যজীবীর। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার আবারও তাঁদের জালে ধরা পড়ল ১৪০টি নোড়ে ভোলা মাছ। ওই মাছগুলির ওজন ১,৬০০ কেজিরও বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিশ্চিন্তপুরের প্রতাপাদিত্য মৎস্যবাজারের একটি আড়তে নিলামে ওই মাছের দাম ওঠে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র ওই ৫ মৎস্যজীবী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলপির রাঙাফলার বাসিন্দা মাতিন জমাদার-সহ ৫ জন মৎস্যজীবী ডিঙি নৌকায় হুগলি নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আগুনমারির চরের কাছে মাছ ধরার জন্য জাল পাতেন তাঁরা। সেই জালেই ধরা পড়ে ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রায় ১৪০টি নোড়ে ভোলা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই মাছ নিয়ে আসা হয় নিশ্চিন্তপুরের বাজারে। সেখানে একটি মাছের আড়তে নিলামে কেজি প্রতি ৭৫০টাকা দরে বিক্রি হয়।

দেবব্রত দাস নামে কলকাতার এক মৎস্য ব্যবসায়ী ওই মাছগুলো কেনেন। জয়দেব হাতি নামে আর এক আড়ত মালিক বলেন, ‘‘সুন্দরবন ও দিঘাতে মেলে এই প্রজাতির ভোলা মাছ। এই মাছের পটকা থেকে ক্যাপসুলের খোল তৈরি হয়। সে কারণেই এই মাছ মূল্যবান। তবে নোড়ে ভোলার থেকে বেশি মূল্যবান তেলিয়া ভোলা। আগে এই ধরনের ভোলা মাছ সচরাচর ধরা পড়ত না। ইদানীং আবার মাঝেমাঝে মৎস্যজীবীরা এই মাছ পাচ্ছেন।’’

মোশারফ জমাদার নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘পরিবারে খুব অনটন চলছিল। নদীতে যা মাছ উঠছিল তা দিয়ে চলছিল না। ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি ভাগ্য বদল হবে। পর পর দু’দিনই জালে ধরা পড়ে নোড়ে ভোলা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fish Fishermen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE