Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক

স্কুল ভবনের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের আমলানি হরিপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কর্মকারের ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান সহকারী শিক্ষক এবং গ্রামবাসীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ স্কুলে যায়। প্রধান শিক্ষক লিখিত ভাবে জানান, দোষ প্রমাণ হলে তিনি শাস্তি মাথা পেতে নেবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৭
Share: Save:

স্কুল ভবনের কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের আমলানি হরিপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কর্মকারের ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান সহকারী শিক্ষক এবং গ্রামবাসীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ স্কুলে যায়। প্রধান শিক্ষক লিখিত ভাবে জানান, দোষ প্রমাণ হলে তিনি শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। এরপরে বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।

হাসনাবাদ চক্রের স্কুল পরিদর্শক তমালকান্তি সরকার বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বশিক্ষা মিশনের দেওয়া প্রায় ৪ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ করেন সহশিক্ষক এবং গ্রামবাসীরা। তদন্তে ঘটনা সত্য প্রমাণ হওয়ায় জেলা আধিকারিকদের সব জানানো হয়েছে। জেলা থেকে অনুমতি পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে প্রধান শিক্ষক সমীর কর্মকার বলেন, ‘‘সর্বশিক্ষা মিশনের দেওয়া টাকায় ঘর করা হয়েছে। তদন্তের আগে কী ভাবে আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই মাসে সর্বশিক্ষা মিশন থেকে হাসনাবাদের আমলানি হরিপুর প্রাথমিক স্কুল বাড়ির উন্নতির জন্য ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন মেলে। অভিযোগ, স্কুলের কোনও উন্নয়নমূলক কাজ না করে নকল সইয়ের মাধ্যমে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সহশিক্ষক এবং গ্রামের মানুষ প্রধান শিক্ষকের কাছে টাকার হিসাব চান। নানা টালবাহানায় প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার পরে সহশিক্ষক এবং গ্রামের মানুষ স্কুল বাড়ির উন্নয়নের টাকা কী হল জানতে চেয়ে স্কুল পরিদর্শকের কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন স্কুল পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট দফতরের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, স্কুল বাড়ির কোনও রকম উন্নয়ন না করে সই নকলের মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপরে বিষয়টি জেলা আধিকারিকদেরও জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, এ কথা জানাজানি হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক এবং গ্রামের মানুষ। ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও। এ দিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, ‘‘এলাকায় স্কুলটির বেশ সুনাম আছে। প্রধান শিক্ষকের জন্য তা নষ্ট হতে বসেছে।’’ স্কুলের শিক্ষক অশোক মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণপদ দাস বলেন, ‘‘স্কুল বাড়ি তৈরির টাকায় একটি ইটও গাঁথা হয়নি। প্রধান শিক্ষক উল্টে হুমকি দিয়ে বলেছেন, টাকা চুরি করলে বেশ করেছি। তিনি নাকি আমাদের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। আমরা এ সবের প্রতিবাদ করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

head teacher School mid day meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE