অগ্রণী: রক্ত দিচ্ছেন মহকুমাশাসক। নিজস্ব চিত্র
গণ্ডগোলের জেরে বাতিল হয়েছিল রক্তদান শিবির। তার ভুগতে হচ্ছিল বসিরহাট জেলা হাসপাতালকে। ব্লাড ব্যাঙ্কের মজুত রক্তের পরিমাণ তলানিতে ঠেকে। রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। মওকা বুঝে ফায়দা লুটতে নেমে পড়ে দালালেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, রক্তদাতা নিয়ে এলে তবেই রোগীকে দেওয়া হবে রক্ত। কিন্তু সেটা যে সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়, তা জানতেন সকলেই। রক্তদানের জন্যও আবেদন রাখা হচ্ছিল নানা মহলে।
রক্তের হাহাকারের খবর সামনে আসায় রক্তদানের জন্য এগিয়ে এলেন অনেকে। শনিবার বসিরহাটের মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি-সহ ৩০ জন গিয়ে রক্ত দেন হাসপাতালে।
হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের তিনটি ঘরে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নীতেশবাবুর কথায়, ‘‘রক্তদান মানবিক কর্তব্য। তাই যখন শুনলাম হাসপাতালে রক্তের অভাব, চলে এলাম।’’
এ দিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, সুপার শ্যামল হালদার, আইসি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অসিত মজুমদার প্রমুখ। শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘মানুষ যদি এ ভাবে এগিয়ে আসেন, তা হলে রক্তের অভাব পূরণ হবে। রোগীর আত্মীয়দের রক্তদাতা খুঁজতে বেরোতে হবে না।’’
এ দিন রক্তদাতাদের মধ্যে ছিলেন আখারপুরের ইদ্রিশ আলি শেখ, পাইকপাড়ার ফতেমা বিবি, ভ্যাবলার শিবু দে, আস্থা রোডের শেখ ফারুখ আহমেদ, নৈহাটির বাসিন্দা সঞ্জীব মণ্ডল। তাঁদের কথায়, ‘‘এই হানাহানির কোনও কারণ ছিল না। এক দল দুষ্কৃতীদের জন্য মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy