বইমেলাতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
শুধুমাত্র বই ভালবেসে, বই পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে পথে হাঁটলেন দশ হাজারেরও বেশি মানুষ। সাম্প্রতিক কালে বনগাঁয় কোনও রাজনৈতিক মিছিলেও এত মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
রবিবার থেকে বনগাঁ শহরের খেলাঘর মাঠে শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২৯তম গ্রন্থমেলা। মেলা চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই মেলা উপলক্ষ্যে এ দিন এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়।
সেই ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিরা। সংস্কৃতির শহর হিসেবে পরিচিত বনগাঁ শহরে এই ধরনের বই মেলা প্রথম।
পদযাত্রায় পোস্টার, ব্যানার, ট্যাবলো দেখতেও রাস্তার দু’পাশে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। স্থানীয় কবি সাহিত্যিকরা বলেছিলেন, ‘‘এতদিনে শাপমোচন ঘটল। বনগাঁ সাহিত্যের শহর হলেও সরকারি উদ্যোগে বড় মাপের বইমেলা এই প্রথম। ’’
জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের উদ্যোগে এবং বনগাঁ পুরসভার আয়োজনে মেলায় এ দিন উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সঙ্গীত পেশ করেন ওপার বাংলার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘মেলার বিভিন্ন দিনে থাকছে শিক্ষা বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান।’’
মেলায় যাতে বই বিক্রি হয় তার জন্য পদক্ষেপ করেছে উদ্যোক্তারা। স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের মেলাতে নিয়ে আসার জন্য বিনামূল্যে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা গ্রন্থাগার কমিটির সদস্য গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘মেলাতে প্রায় এক কোটি টাকার বই বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১৬ টি স্কুল ও জেলার ২৩১টি পাঠাগারকে বই কেনার জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছে।’’
মেলার বিভিন্ন দিনে থাকছে কবিতা, গল্প পাঠের আসর। থাকছে সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা সভা, নাটক, ভাটিয়ালি, বাউল, নৃত্যের অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকার কথা কবি শ্রীজাতের।
মেলার মূল মঞ্চ সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীনবন্ধু মিত্রের নামে করা হয়েছে। বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘আজকের দিনটি বনগাঁর সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার ঐতিহ্যে স্মরণীয়।’’ মেলা উপলক্ষ্যে ইছামতী নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy