ইছামতীতে দুই বাংলার ভাসান দেখতে এ বারও ভিড় উপচে পড়ল টাকিতে। তবে নৌকোর সংখ্যা বাংলাদেশের দিক থেকে ছিল নেহাতই কম। ফলে কিছুটা যেন জৌলুস কমেছে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্বের। ভিড়ের মধ্যে থেকে ভেসে এল মন্তব্য, ‘‘ঠিক জমল না এ বার।’’
২০১৩ সালে টাকিতে বিসর্জনের দিন জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ভারতীয় গবেষকের। সে বার দুর্গা ভাসানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মানুষ অবৈধ ভাবে ঢুকে পড়েছিল এ পারে। তা নিয়ে সোচ্চার হন এ পাড় বাংলার অনেকেই। সেই থেকে ভাসানের দিন অবৈধ পারাপার বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন, বিএসএফ।
এত দিন দুই বাংলার নৌকোয় প্রতিমা নিয়ে জলে পরিকক্রমা চলত। দু’দেশের জাতীয় পতাকা থাকত যার যার নৌকোয়। একে অন্যের দিকে ফুল-মিষ্টি ছুড়ে দেওয়ার প্রথা ছিল। আলাপ-পরিচয় হত পড়শি দেশের মানুষের মধ্যে। সেই দৃশ্য গত কয়েক বছর ধরেই তেমন জমছে না। বরং নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকে চোখে পড়ার মতো। সে জন্যই ও পার বাংলা থেকে ইছামতীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের উৎসাহ কমেছে বলে মনে করেন এ দিককার অনেকে। এ বার টাকি থেকে বাংলাদেশের দিকে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিমা দেখা গিয়েছে। তা-ও তারা বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যেই থেকেছে।