Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মা-ছেলের দেহ উদ্ধার জয়নগরে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে নদিয়ার লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় যোগেশ্বরের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

বারো বছরের ছেলের দেহ ভাসছিল বাড়়ির কাছে পুকুরে। মায়ের দেহ মিলল বাড়ির ভিতরেই সেপটিক ট্যাঙ্কে। পলাতক গৃহকর্তা।

বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের ঢোসা চন্দনেশ্বর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম লক্ষ্মীরানি নস্কর (৩৪) ও সুজয় (১২)। লক্ষ্মীর স্বামী যোগেশ্বরের খোঁজ করছে পুলিশ। দেহে পচন ধরায় খুন কিনা, এখনই নিঃসন্দেহ নয় পুলিশ। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে তারা। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে নদিয়ার লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় যোগেশ্বরের। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় দিনমজুরির কাজ ছেড়ে রাতদিন নেশাভাঙ করা শুরু করেন যোগেশ্বর। সংসারের হাল ধরতে লক্ষ্মীদেবী কলকাতায় পরিচারিকার কাজ নেন। প্রতিদিন সকালে বেরিয়ে যেতেন।

সোমবার সকাল থেকে মা-ছেলের খোঁজ মিলছিল না। যোগেশ্বর প্রতিবেশীকে জানান, ঝগড়া করে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন লক্ষ্মী। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। কাজেই যোগেশ্বরের দাবি প্রথমটায় বিশ্বাস করতে অসুবিধা হয়নি পড়শিদের।

কিন্তু বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে সুজয়ের পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ততক্ষণে যোগেশ্বর পিঠটান দিয়েছেন। লক্ষ্মীদেবীর খোঁজ করতে গিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মেলে দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, যোগেশ্বর নেশা করার টাকা চেয়ে স্ত্রীর উপরে নির্যাতন চালাতেন। রবিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। সে সময়ে লক্ষ্মীদেবীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভোরের আলো ফুটলেই থানায় যাবেন তিনি। বাসিন্দাদের দাবি, যোগেশ্বরই স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে চম্পট দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jaynagar Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE