গোপাল শেঠ নিজস্ব চিত্র
সরিয়ে দেওয়া হল বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যকে। সেই জায়গায় নিয়ে আসা হল তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। দল তাঁকে যোগ্য মনে করেছে, তাই এই দায়িত্ব দিয়েছে বলে গোপাল মন্তব্য করলেও শঙ্করের এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
বনগাঁ পুরসভার প্রসাশক পদ থেকে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরেও দেড়মাস কেটে গিয়েছে। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল ঘাসফুল শিবির। নতুন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর গোপাল বলেন, ‘‘দল আমাকে যোগ্য মনে করেছে। দলের তরফে যে দায়িত্বই দেওয়া হোক না কেন, আমি সেটাই মনোযোগ দিয়ে পালন করব। উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে হবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করব।’’
২০১৫-র পুরনির্বাচনে বনগাঁর ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে তৃণমূল জয়লাভ করে৷ ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে তখন চেয়ারম্যান হয়েছিলেন শঙ্কর। এর পর ২০১৯-এর মে মাসে ১৩ জন কাউন্সিলর শঙ্করের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা আনেন। তাঁরা চেয়ারম্যান পদ থেকে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্বের কাছে৷ তার পর কয়েক জন কাউন্সিলর তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া ধ্বনি ভোটে জিতেছিলেন শঙ্কর। বাকি কাউন্সিলররা শঙ্করের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রশাসক বদল নিয়ে বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রশাসক দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। মানুষ ভয়ে, আতঙ্কে পুর পরিষেবা নিতে পুরসভায় যেতে পারতেন না। আমরা এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন করেছি। নতুন দায়িত্ব যাঁর হাতে যাচ্ছে, তাঁকে অনুরোধ করব, মানুষের জন্য কাজ করতে।’’
বনগাঁর বিদায়ী মুখ্য পৌর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন, ‘‘বিগত দিনে বনগাঁর যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা। শেষ পর্যন্ত মানুষ বিচার করবে । তবে আমাকে যে সরানো হবে, এ বিষয়ে আগে থেকে আমি কিছুই জানতাম না । তথাপি দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy