Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Murder

নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনে উঠছে এক নাবালকের নাম, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় খুন বলে অভিযোগ

শনিবার নৈহাটির শিবদাসপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন জাকির হোসেন-সহ তিন জন। তাঁদের কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জাকির মারা যান।

নিহত জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে ভিড়।

নিহত জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নৈহাটি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৬
Share: Save:

হাসপাতালে মৃত্যু হল গুলি এবং বোমায় জখম উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির শিবদাসপুরের তৃণমূল কর্মীর। শনিবার ভরসন্ধ্যায় গুলি চালিয়ে এবং বোমা ছোড়া হয়েছিল তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে। ওই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে এক নাবালকের। ওই নাবালক এলাকায় মাদক ব্যবসা চালায় বলেও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

শনিবার ভর সন্ধ্যায় নৈহাটির শিবদাসপুর এলাকায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমা এবং গুলিতে জখম হয়েছিলেন জাকির-সহ তিন জন। তাঁদের কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু জাকিরের মৃত্যু হয় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। তাঁর শরীরের কয়েক জায়গায় গুলি লেগেছিল। নিহতের ভাই মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘দাদার সঙ্গে কারও অশান্তি তেমন কিছু ছিল না। মনে হয়, শনিবার সকালে জমি নিয়ে অশান্তিতে ওর উপরে রাগ গিয়ে পড়েছে। তার জন্যই ওকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হয়। ওরা হয়তো মনে করেছে, দাদার এর পিছনে কোনও ইন্ধন আছে।’’ এই ঘটনার পিছনে ওই এলাকার এক নাবালক মাদক ব্যবসায়ী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘ওই ছেলেটির নামে থানায় নানা অভিযোগ ছিল। ওরা ছ’জন মুখোশ পরে এসেছিল দুটি বাইকে চড়ে। মোট তিনটি গুলি চালিয়েছে।’’

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তাঁদের পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে জমি নিয়ে অশান্তি হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে জাকিরের খুনের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ওই পরিবারের অনেকে। নিহতের স্ত্রী এসমাতারা বিবির কথায়, ‘‘আমার স্বামী অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। এলাকায় অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করতেন। সকলে ওকেই সমস্যার কথা জানাত। উনি সকলকে ঠান্ডা মাথায় বোঝাতেন। কোনও সমস্যা ছিল না। কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল তা জানি না!’’

রবিবার ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতারা। তাঁরা জাকিরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘যারা জাকির হোসেনকে খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। অন্য কোনও দলের ইন্ধন আছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে।’’

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ খুন, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাকিরের হত্যার পর থমথমে শিবদাসপুর এলাকা। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। পাশাপাশি, তৈরি হয়েছে ক্ষোভও। রবিবার সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE