তিলধারণের জায়গা নেই হাসপাতালে

ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বৃহস্পতিবার সকালে। মথুরাপুরের ঘোষেরচক গ্রামের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমনা ঘোষের ঠাঁই হয়েছে দোতলায় মেঝেতে। জানালেন, মথুরাপুর এলাকার একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন। রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি এমন আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করেছিলেন। ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির তালিকায় কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত নেই বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে জ্বরে আক্রান্তদের পরিসংখ্যান নথিবদ্ধ করা হচ্ছে আলাদা ভাবে।

এ দিকে, জ্বরের রোগী রোজই বাড়ছে ডায়মন্ড হারবারে। এক শয্যায় অনেকে গাদাগাদি করে শুয়ে। বারান্দায় দু’ধারে লম্বা লাইন। হাঁটা-চলা করা দায়। স্যালাইন ঝোলানোর যথেষ্ট স্ট্যান্ডও নেই। দেখা গেল, কোথাও কোথাও গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বাঁধা বোতল। চ্যানেল হাতে সেখানেই শুয়ে-বসে রোগী।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন জ্বর নিয়ে ২০-২৫ জন ভর্তি হচ্ছেন। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই। রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে।

সারা হাসপাতালে ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের মুখে তা নিয়ে একটা শব্দও নেই। এক স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ, ডেঙ্গি নিয়ে কোনও কথা বলা চলবে না।’’ কানাঘুষো শোনা গেল, ডায়মন্ড হারবারের বেসরকারি ল্যাবগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি লেখা চলবে না।

সুপার অবশ্য বলেন, ‘‘অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে। কারও রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি। এখনও পর্যন্ত জ্বরে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।’’ তিনি জানান, সরকারি নির্দেশ মেনে, ১৬ অক্টোবর থেকে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা রাখা হচ্ছে।