হাসপাতালে যমুনা। নিজস্ব চিত্র
বারান্দায় বসে আশি বছরের বৃদ্ধা পান-সুপারি মুখে দিয়ে চিবোচ্ছিলেন। হঠাৎই ছেলে এসে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুসি-চড় মারতে থাকে। ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে লাথি মারে বলেও অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতিবেশীরা বৃদ্ধা যমুনা বিশ্বাসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁর শরীরে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। চোখের নীচে রক্ত জমেছে। মুখ ফুলে গিয়েছে। সারা শরীরে ব্যথা।
সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার বেলঘরিয়া বাইপাস এলাকায়। বৃদ্ধার ছোট নাতি উত্তম হাবড়া থানায় বাবা নির্মলের বিরুদ্ধে ঠাকুমাকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বৃদ্ধা মায়ের উপরে এমন অত্যাচার ভাবাই যায় না। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সে পলাতক।’’
পুলিশ জানায়, বেলঘরিয়া বাইপাস এলাকার নির্মল বিশ্বাস ভ্যান চালায়। অভিযোগ, বৃদ্ধা মা যমুনার উপরে কিছু দিন ধরেই অত্যাচার চালচ্ছিল সে। ঠিক মতো খেতে দিত না। নির্মলের দুই ছেলে। বছর তিনেক আগে ছোট ছেলে উত্তম সাংসারিক অশান্তির জেরে বাড়ি ছেড়ে স্থানীয় আয়রা এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে উঠে যান। উত্তম জানান, ঠাকুমা তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করেন। বাবা সেটা মানতে পারেনি। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে যমুনা বলেন, ‘‘ছেলে ঠিকমতো খেতে-পরতে দেয় না। নাতির বাড়িতেও যেতে দিতে চায় না। সোমবার কিন্তু কেন মারধর করল, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy