পত্রিকা: নিজস্ব চিত্র
কোনও লিটল ম্যাগাজিনের বিষয়বস্তু, মার্কসবাদের প্রাসঙ্গিকতা, কোনও পত্রিকা সেজেছে ‘বিরহের কবিতা’য়। যশোর রোডের গাছ নিয়েও পাতার পর পাতা লেখা কোনও পত্রিকায়।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে বনগাঁ শহর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন এমনই বিষয় বৈচিত্র্যে ভরা। কবি বিভাস রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এত দিন একই লেখকের লেখা নিয়ে এলোমেলো ভাবে বেশিরভাগ পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছিল। সেগুলি বাইরে থেকে ঝকমকে দেখালেও আদতে ছিল অন্তঃসারশূন্য। এ বার বেশ কিছু বিষয়ভিত্তিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। যা বেশ ভালমানের।’’
লিটল ম্যাগাজিন ও স্যুভেনিয়র— দু’ধরনের পত্রিকাতেই সাহিত্যের প্রতিফলন দেখা যায় বনগাঁয়। পুজো উপলক্ষে এই সংস্কৃতি বনগাঁর নিজস্ব, দাবি বহু পুজো উদ্যোক্তা, পত্রিকা সম্পাদকের।
‘শিস’ পত্রিকার এ বার উনপঞ্চাশ বছর। বাংলা সাতিহ্য মহলে পরিচিত নাম। বহু দিন ধরেই তাঁরা বিষয়ভিত্তিক পত্রিকা প্রকাশ করে আসছেন। এ বার বিষয়বস্তু, ‘কার্ল মার্কস।’ স্বপন চক্রবর্তীর সম্পাদনায় ৩০৪ পাতার পত্রিকাটি সংগ্রহযোগ্য। এপিডিআর, বনগাঁ শাখার পক্ষ থেকে যশোর রোডের গাছ নিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। পত্রিকার নাম ‘স্বাধিকার।’ সাম্প্রতিক সময়ে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য যশোর রোডের প্রাচীন সব গাছ কেটে ফেলার তৎপরতা শুরু হয়েছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে। বৃক্ষপ্রেমীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ। এ বারের সংখ্যাটি সে দিক থেকে খুবই সময়োপযোগী।
‘পার্থিক’ পত্রিকার বিষয়, ‘বিরহের কবিতা।’ সম্পাদক প্রিয়ব্রত দত্ত লিখেছেন, ‘‘প্রেম ও বিরহ— দু’টি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত শব্দ। বিরহের কোনও সংজ্ঞা হয় না। বিরহ সবার একার।’’ ‘শারদীয়া’ পত্রিকার বিষয়, ‘চিঠি।’ ‘শুঁয়োপোকা’ পত্রিকার বিষয়, ‘প্রেমপত্র।’ ‘আমাদের লোকালয়’ পত্রিকা এ বার বনগাঁর বিশিষ্ট প্রয়াত শিল্পীদের নিয়ে সংখ্যা প্রকাশ করেছে। ‘ঋ’ পত্রিকা কয়েকজন কবি সাহিত্যিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেছে। ‘বিবেকের আলোকে’ পত্রিকা গোষ্ঠী সংখ্যা করেছে প্রয়াত কবি অর্ণব দত্তকে নিয়ে। ‘দৈনন্দিন’ পত্রিকার বিষয় ছিল, ছড়া। ‘রোপণ’ সংখ্যা করেছে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। ‘শাপলা’ সেজেছে ছোটদের ছড়ার ডালিতে।
এ ছাড়াও, ভালমানের পত্রিকা হয়েছে ‘অন্বেষা।’ ‘এখন চলতে চলতে,’ ‘কাশফুল,’ ‘উজাগর, ’ ‘নর্বাক,’ ‘সাহিত্যপত্র,’ ‘কিন্নরদল,’ ‘সার্বভৌম সমাচার’ পত্রিকাগুলিও গুণমানে পাঠকের নজর কাড়ছে। বেশ কিছু পত্রিকার প্রচ্ছদেও ভাবনাচিন্তার ছাপ স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy