Advertisement
E-Paper

হ্যাম রেডিয়োর সাহায্যে বাড়ি খুঁজে পেলেন মহিলা

দু’দিন আগে এই হাসপাতালেরই এক রোগিণীকে তাঁর অসমের বাড়িতে ফিরিয়েছে হ্যাম রেডিয়ো ক্লাব। সোমবার সেই ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল থেকে আরও এক পথভোলা মহিলাকে বাড়ি ফেরালেন এই ক্লাবের সদস্যেরা।

দিলীপ নস্কর

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৮ ০৭:৩০
ফিরে-পাওয়া: বাবা-মেয়ে

ফিরে-পাওয়া: বাবা-মেয়ে

দু’দিন আগে এই হাসপাতালেরই এক রোগিণীকে তাঁর অসমের বাড়িতে ফিরিয়েছে হ্যাম রেডিয়ো ক্লাব। সোমবার সেই ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল থেকে আরও এক পথভোলা মহিলাকে বাড়ি ফেরালেন এই ক্লাবের সদস্যেরা। এ দিন ওই মহিলার বাবা লক্ষ্মী মজুমদার নামের ওই মহিলাকে তাঁর ফালাকাটার রায়চাঙ্গা গ্রামে বাপের বাড়িতে নিয়ে যান।

লক্ষ্মীর শ্বশুরবাড়ি বিহারে। ৯ অগস্ট ডায়মন্ড হারবার শহরে রাস্তার ধারে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তারাই তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসায় কিছুটা সেরে ওঠেন লক্ষ্মী। কিন্তু কোনও কথারই ঠিকঠাক জবাব দিতে পারছিলেন না। তিনি যে ভাষায় কথা বলছিলেন, তা-ও বুঝতে পারছিল না কেউ। ফলে ঠিকানা জানা যাচ্ছিল না। কাগজে নাম-ঠিকানা লিখতে বলায় তিনি কয়েকটি বাংলা হরফ লেখেন মাত্র। কিন্তু কথা বলছিলেন ভোজপুরি আর হিন্দির মিশেলে। অতিরিক্ত সুপার সুপ্রিম সাহা লক্ষ্মীর ছবি তুলে পাঠান ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ে ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসকে।

অম্বরীশ রেডিয়ো ক্লাবের সব সদস্যের কাছে সেই ছবি পাঠিয়ে দেন। দিন দু’য়েক আগে খবর আসে ফালাকাটে থেকে। হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সদস্যেরা ফালাকাটা থানায় গিয়ে জানতে পারেন, লক্ষ্মীর নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে সেখানেই। পুলিশই রায়চাঙ্গা গ্রামে নিয়ে যায়। লক্ষ্মীর ছবি দেখে চিনতে পারেন বাবা বলহরি মজুমদার। বড় জামাই গণেশ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার রওনা দেন তিনি। এ দিন সকালে হাজির হন ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে।

লক্ষ্মীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বিহারের যোগীন্দ্রনগর এলাকার দিনমজুর নাথুরাম চৌধুরীর সঙ্গে। তাঁদের পাঁচ ও তিন বছর বয়সী দু’টি সন্তান রয়েছে। মাস আটেক আগে লক্ষ্মীর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা করানোর জন্য নাথুরামের সঙ্গে বাপের বাড়িতে আসেন। সেখানে কয়েক দিন থাকার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান লক্ষ্মী। সোমবার সকালেই হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের দুই সদস্য পম্পা সাধুখাঁ ও সুমিত ঘোষের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন বলহরি ও গণেশ। বাবাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন।

বলহরি জানান, জামাই অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। লক্ষ্মীর খোঁজ মিলেছে বলে তাকে জানিয়েছি। দিন কয়েকের মধ্যে এসে মেয়েকে নিয়ে যাবে ও। সুপ্রিম বলেন, ‘‘মহিলাকে বাড়িতে ফেরাতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’ —নিজস্ব চিত্র

Father Daughter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy