আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বুধবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সেবা প্রকল্পের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। বিভিন্ন কলেজ থেকে প্রকল্পের সদস্য এবং সঞ্চালকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর সভাগৃহে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য রতনলাল হাংলু। উপাচার্য বলেন, ‘‘ক্লাসের বাইরেও অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের বড় ভূমিকা রয়েছে। জাতীয় সেবা প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে তাঁরা সেই ভূমিকা পালন করেন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বন্যা দুর্গতদের সেবায় এসএসএর-র ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী সুপর্ণানন্দ মহারাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সুখেন বিশ্বাস-সহ অন্যেরা। সুখেনবাবু বলেন, ‘‘যুবরাই দেশের শক্তি। জাতীয় সেবা প্রকল্প দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই যুবশক্তির উপরে।’’ তিনি জানান, সে জন্যে প্রথম সমাবর্তনের জন্যে এই দিনটা বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সেবা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তিন জেলায় ৫০টি কলেজে এর শাখা রয়েছে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজার। প্রতি কলেজে এক জন করে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রয়েছেন। এ দিন ভাল কাজের জন্য ছ’জন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, ৪৬টি কলেজ থেকে ৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবক, হরিণঘাটা ও লালগোলা কলেজ ও এক স্বেচ্ছাসেবককে বিশেষ সন্মান দেওয়া হয়। এ দিন পুরস্কৃত করা হয় হরিণঘাটা মহাবিদ্যালয় ও মুর্শিদাবাদের লালগোলা কলেজকে। মুর্শিদাবাদ জোন থেকে শ্রেষ্ঠ প্রোগ্রাম অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন রত্নাবলী বিশ্বাস ও সুপম মুখোপাধ্যায়। নদিয়া জোন থেকে কৌশিক সেনগুপ্ত ও অরিন্দম চক্রবর্তী। উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে দেবযানী রায়চৌধুরী এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় জোন থেকে সুশান্ত সরকারকে পুরস্কৃত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy