পণের টাকা না দিতে পারায় এক গৃহবধূকে মারধর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠল স্বামী, শাশুড়ি এবং মামাশ্বশুরের বিরুদ্ধে। শনিবার দেগঙ্গার রাজুকবেড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামী রাকিবুল হক ও শাশুড়ি ছায়মা বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নহিম মণ্ডল নামে আরও এক অভিযুক্ত পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। নিলুফা হক নামে ওই মহিলা বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ওই এলাকার গোরামারি গ্রামের নিলুফার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজুকবেড়িয়া গ্রামের রাকিবুলের। অভিযোগ, পেশায় সেলাইকর্মী রাকিবুলের চাহিদা মতো বিয়েতে সব কিছুই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আরও টাকার দাবিতে নিলুফার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত রাকিকুল ও তার বাড়ি। ঘটনাটি নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিসি হলেও সুরাহা হয়নি। এ বার অশান্তি চরমে ওঠে। গর্ভপাত করানোর পরই নিলুফাকে লোহার রড দিয়ে মেরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা জানতে পেরে নিলুফার বাপের বাড়িতে খবর দেন। এরপরে নিলুফাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন গ্রামবাসীরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেন। নিলুফা বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই টাকার দাবিতে আমাকে মারধর করত। এরপর ৩০ হাজার টাকার দাবিতে অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল। বাবার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলায় আমার স্বামী, শাশুড়ি এবং মামাশ্বশুর পরিকল্পনা করে ডাক্তার দেখানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy