জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ার ঘটনায় লাগল রাজনীতির রং।
ডায়মন্ড হারবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলপুকুর পাড়ার জনা চল্লিশ বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কলপুকুর পাড়ার ওই টাইম কলটির সংযোগ ছিন্ন করেছে পুরসভা। পুরসভার পাল্টা অভিযোগ, মিস্ত্রিদের উপরে চড়াও হওয়ার জেরে ভয়ে সেখানে কাজ করতে যেতে চাইছেন না কেউ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেল থেকে। স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ি জলের সংযোগ দিতে গিয়ে ওই কলটির সংযোগ ছিন্ন করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে এ দিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষ। পুরসভার চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের কাছেও দরবার করেন তাঁরা। প্রতিমা মণ্ডল, হাসিনা বেগম, উপল প্রধান, অনিল হালদারদের বক্তব্য, “আমরা সিপিএম করি বলেই এই ভাবে আমাদের হেনস্থা করছে পুরসভা।” দীর্ঘ সময় জল না থাকার কারণে বিপদে পড়েছেন পুরবাসী প্রদীপ বৈদ্যের বাড়িতে চলছে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। জল না থাকায় আরও মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা।
এলাকায় নতুন জলের সংযোগ দেওয়া বা মেরামতির কাজ হলে স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করেই করার কথা। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা সিপিএম নেতা পূর্ণেন্দু সরকারের দাবি, “এলাকার মানুষের ওই কলের সংযোগ ছিন্ন করার বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। আমরা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করব।”
চেয়ারপার্সন মীরাদেবী বলেন, “আমরা এলাকায় পুরনো পাইপ তুলে নতুন করে বসানোর কাজ করতে গিয়ে মিস্ত্রি ভুল করে সংযোগ ছিন্ন করেছে। তা আমরা অবিলম্বে সারিয়ে দেব। উন্নয়নের কাজে একটু অসুবিধা হবেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ রকম অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মিস্ত্রি কাজ করতে গেলে তাদের উপরে চোটপাট করেন এলাকার মানুষজন। অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কিও করা হয় কন্ট্রাক্টর সুমন হালদারকে। তাতে ভয় পেয়ে কাজে যাচ্ছেন না তাঁরা।
অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কলের সংযোগ জোড়া যায়নি। জলও আসেনি। কবে সংযোগ স্বাভাবিক হবে, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy