দোলের দিন প্রতিবেশীর মারে নিহত দত্তপুকুর থানার নিবাধুই স্কুল রোডের বাসিন্দা শঙ্কর দাসের বাড়িতে গেলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি শঙ্করবাবুর বাড়িতে পৌঁছন।
মন্ত্রী আসছেন খবর পেয়ে এলাকার মহিলারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে তারা অভিযোগ করেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই ও বাংলা মদের কারবার চলছে। পুলিশ সব জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। মহিলাদের আশঙ্কা, তাঁরা মন্ত্রীর কাছে ওই অভিযোগ করেছেন বলে তাদের উপরেও হামলা হতে পারে।
অভিযোগ, শঙ্করবাবুর সঙ্গে পুরনো ঝামেলার জেরে দোলের দিন তাঁকে মারধর করেন প্রতিবেশী গণেশ দাস, তাঁর স্ত্রী উজ্জ্বলা এবং গণেশের এক নাবালক ভাইপো। ভোররাতে আরজিকর হাসপাতালে মারা যান বছর চল্লিশের শঙ্কর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গণেশের বাড়িতে চোলাই বিক্রি হয়। আরও নানা অসাধু কারবার চলে। গণেশের এক আত্মীয় নানা দুষ্কর্মে জড়িত। সে গোপালনগর থেকে এসে এই এলাকার বাসিন্দাদের ভয় দেখায়। সে জন্যই কেউ কিছু বলতে সাহস করে না।
মন্ত্রীর কাছে শঙ্করবাবুর স্ত্রী জয়া বলেন, “আমরা কোনও সাহায্য চাই না। স্বামীর স্বপ্ন ছিল, মেয়ে সোমাকে লেখাপড়া শিখিয়ে চিকিত্সক করবেন। একটা কাজ চাই।” জ্যোতিপ্রিয়বাবু জয়াদেবীকে আইসিডিএস প্রকল্পে কাজের আশ্বাস দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, “পরিবারটিকে কিছু আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। আমরা ১ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দেব ওঁর মেয়ের লেখাপড়ার জন্য। আইসিডিএসে চাকুরির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।”
ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই গণেশ ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। অন্য অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
এ দিনই জ্যোতিপ্রিয়বাবু হাবরার পশ্চিম কামারথুবা এলাকায় দিন কয়েক আগে আত্মঘাতী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়িতে যান। সেখান থেকে যান কুমড়ো কাশীপুর এলাকায় বালির গাড়ি উল্টে নিহত এক স্কুল ছাত্রের বাড়িতে। দু’টি পরিবারের সদস্যদের হাতেই আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy