Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বাকি অভিযুক্তেরা কবে ধরা পড়বে, প্রশ্ন বৃন্দার

দলীয় কর্মী খুনে জড়িত বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করার দাবি তুললেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট। তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার মিনাখাঁ থানায় এসেছিলেন বৃন্দা কারাট, রমলা চক্রবর্তী, রেখা গোস্বামী-সহ মহিলা নেত্রীরা। মিনাখাঁ থেকে বৃন্দাদেবী যান সন্দেশখালিতে।

মিনাখাঁয় সিপিএমের প্রতিনিধি দল। —নিজস্ব চিত্র।

মিনাখাঁয় সিপিএমের প্রতিনিধি দল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মিনাখাঁ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫১
Share: Save:

দলীয় কর্মী খুনে জড়িত বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করার দাবি তুললেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট। তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।

শুক্রবার মিনাখাঁ থানায় এসেছিলেন বৃন্দা কারাট, রমলা চক্রবর্তী, রেখা গোস্বামী-সহ মহিলা নেত্রীরা। মিনাখাঁ থেকে বৃন্দাদেবী যান সন্দেশখালিতে।

গত মঙ্গলবার মিনাখাঁর দক্ষিণ বারগা গ্রামে ত্রাণ চাইতে গিয়ে গুলিতে খুন হন সিপিএম কর্মী আবুবক্কর কয়াল। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ত্রাণের দাবি অজুহাত মাত্র। আসলে লোকজন নিয়ে তৃণমূল নেতা মনসুর মোল্লাকে খুন করতে এসেছিল সিপিএমের সওকত মোল্লা ওরফে হাঁসা। নিজেদের ছোড়া গুলিতেই মারা গিয়েছে সিপিএমের লোক। সিপিএমের পাল্টা দাবি, ত্রাণ চাইতে গেলে হাঁসাদের উপরে আক্রমণ সানায় মনসুর-বাহিনী। তাদের গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে আবুবক্করের।

ঘটনার পরে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বসিরহাটের এসডিপিও-র সঙ্গে দেখা করেন দলের আরও কিছু নেতা।

মনসুর মোল্লা-সহ তৃণমূলের পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, সওকত-সহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে তৃণমূল শিবির। মনসুর মোল্লা এবং হাফিজুল মোল্লাকে পুলিশ চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। আগামী ২ অগস্ট তাঁদের আদালতে তোলার কথা।

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বৃন্দা পৌঁছন মিনাখাঁ থানায়। পুলিশের কাছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চান। স্থানীয় বাসিন্দারা সিপিএম নেত্রীকে জানান, আবুবক্কর খুনের পরে উল্টে দলের বেশ কয়েকজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের তাড়ায় বর্তমানে তাঁরা গ্রামছাড়া। গ্রামে তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ আসে বৃন্দার কানে। তিনি বলেন, ‘‘ত্রাণ চাইতে গিয়ে একটা ছেলেকে গুলি করে খুন করা হল। আর যারা খুন করল, পুলিশ তাদের ছেড়ে সিপিএম কর্মীদের খোঁজ করছে। এ ঘটনা মানা যায় না।’’

গত ১৫ জুলাই সন্দেশখালির খুলনা এলাকায় পথসভা করার সময়ে সিপিএমের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে মারধর করা হয়। স্থানীয় বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে দীর্ঘক্ষণ পঞ্চায়েত ভবনে আটকে রাখারও অভিযোগ ওঠে। এ দিন দুপুরে বৃন্দাদেবী খুলনার মালোপাড়ায় যান। সেখানে আদিবাসী কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ত্রিমোহণী মোড়ে জনসভায়ও করেন বৃন্দা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE