Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বধূকে পুড়িয়ে মারার নালিশ, গ্রেফতার দুই

মারধরের পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী, ভাসুর ও জায়েদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মোমিনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মামনি দাস (২৪)। বাড়ি ওই এলাকায়।

মামনি দাস।

মামনি দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৮
Share: Save:

মারধরের পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী, ভাসুর ও জায়েদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মোমিনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মামনি দাস (২৪)। বাড়ি ওই এলাকায়। স্ত্রীর গায়ে আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ মামনির স্বামী সন দাস বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতার দাদা দেবাশিস দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বপ্না দাস এবং গীতা দাস নামে তাঁর দুই জাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আট বছর আগে হাসনাবাদের বাসিন্দা মামনির সঙ্গে বিয়ে হয় মোমিনপুর গ্রামের সন দাসের। ওই দম্পতির সাড়ে ছ’বছরের একটি ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো সব কিছু দেওয়া সত্ত্বেও মামনির উপরে নির্যাতন চালাত তার স্বামী, ভাসুর এবং তাদের স্ত্রীরা। সন প্রায়ই রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত বলে অভিযোগ। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শ্বশুরকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান মৃতার পরিবার। এ বিষয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে কয়েকবার আলোচনাতেও বসা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান ওই বধূর দাদা। দেবাশিস বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মারধরের ফলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আমার বোনকে। ওই অবস্থায় বোনকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু আমাদের কোনও খবর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরে ওই বধূকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার আরজিকরে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু যাওয়ার পথেই মামনির মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

basirhat mamani das murder southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE