Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

করোনাজয়ী ১৮ দিনের শিশু, ১০ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর বিপন্মুক্ত বর্ধমানের সদ্যোজাত

১০ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর ৬ মে ওই শিশুর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ দিন।

নার্সের কোলে করোনাজয়ী সদ্যোজাত।

নার্সের কোলে করোনাজয়ী সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৩:২০
Share: Save:

জন্মের পরই শুরু হয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা। রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে এক সদ্যোজাতের। ১০ দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর ৬ মে ওই শিশুর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ দিন। যদিও রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাই করোনা জয়ের কথা জানানো হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। বুধবার ১৮ দিনের শিশুর করোনা-জয়ের কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামে। রামপুরহাট হাসপাতালে জন্মের পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল তার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় তার স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট শুরু হতেই ভর্তির তিন দিন পর কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ধীরে ধীরে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তখন তাকে ১০ দিন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। এর পর ৬ মে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এখনও সে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি। স্নায়ুর সমস্যার চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি উইং অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

বর্ধমান হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক কৌস্তব রায় বলেছেন, ‘‘শিশুরা কোভিড থেকে সেরে উঠছে সেই নজির আছে। কিন্তু মাত্র ক’দিনের শিশু এত জটিল অবস্থা থেকে সেরে উঠছে, এটা আমাদের কাছে বিরাট সাফল্য। শিশুটি এখন সুস্থ। স্নায়ু সমস্যার চিকিৎসাও শুরু করা হবে।’’ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই এই কাজ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE