সনাতন গোস্বামী।
সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যার শরীরে সাত-সাতটি সূচ ঢুকিয়ে নির্যাতনে অভিযুক্ত সনাতন গোস্বামীকে (ঠাকুর) অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের রেণুকূট থেকে উত্তরপ্রদেশ ও পুরুলিয়া জেলা পুলিশের যৌথ দল তাকে ধরে।
পুলিশের দাবি, ভিন্ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেরা বদল করছিল সনাতন। নাদিয়াড়ায় কিছু দিন আগে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে যায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সনাতনের ‘সম্ভাব্য ডেরা’ হিসেবে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জায়গার নাম জানতে পারেন মঞ্চের সদস্যরা। নামগুলি জানানো হয় পুলিশকে। ‘কীর্তনিয়া’ সনাতনের হদিস পেতে কীর্তনের কিছু দলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল পুলিশ। জাল পাতা হয় রেণুকূট-সহ বেশ কিছু জায়গাতে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘দিনের বেলা সাধুর ছদ্মবেশে রেণুকূটেরই একটি মন্দিরে থাকত সনাতন। আর রাতে ঘুমোতে যেত আত্মীয়ের বাড়ি।’’ সেই বাড়িতে হানা দিয়ে উত্তরপ্রদেশ ও পুরুলিয়া জেলা পুলিশের যৌথ দল সনাতনের নাগাল পায়।
১৪ জুলাই পুরুলিয়া চাইল্ড লাইন অভিযোগ দায়ের করে সনাতনের বিরুদ্ধে। এসএসকেএম-এ অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি নির্যাতিত মেয়েটিকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধরা হয়েছে শিশুটির মাকেও। কিন্তু বেপাত্তা ছিল সনাতন। পুলিশ সুপার জানান, সনাতনকে রবিবার উত্তরপ্রেদেশের রবার্টসগঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে। তাকে ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ পুরুলিয়ায় আনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy