দিনে ছ’শো টন আবর্জনা জমে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। —নিজস্ব চিত্র।
গত বছর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল আসানসোল। এর পরেই শহর সাফাইয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই কাজের জন্য হাইসিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (হাডকো) প্রায় ২২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে আসানসোলে কোনও বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র নেই। বছর কয়েক আগে রানিগঞ্জে একটি কেন্দ্র তৈরি হলেও তা বহুকাল ধরে বন্ধ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আসানসোল পুর এলাকায় বর্তমানে সাড়ে বারো লাখ মানুষের বাস। অর্থাৎ জনঘনত্ব সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। এ ছাড়াও ফি দিন বিভিন্ন কাজে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ শহরে আসেন। প্রতি দিন শহরে প্রায় সাড়ে ছশো মেট্রিক টন আবর্জনা তৈরি হয়। এই আবর্জনা বর্তমানে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ফাঁকা জমিতে ডাঁই করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকা প্রকাশের পরেই শহরের সাফাইয়ের উপরে নজর দেওয়া শুরু হয়। জোর দেওয়া হয় সাফাই ও নিকাশিতে।
বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটির জন্য রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর, আসানসোলের কালীপাহাড়িতে জমি দেখা হয়েছে বলে খবর। শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের নতুন কেন্দ্রটির জন্য প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ থেকে ১২ কোটি ও বাকি টাকা হাডকো ঋণ দিয়েছে বলে খবর। জিতেন্দ্রবাবুর আশা, ‘‘খুব দ্রুত কেন্দ্রটি তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে।’’
কী ভাবে এই প্রকল্পটি চালানো হবে? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন। পরে তা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে আনা হবে। গতিবিধি নজরে রাখতে আবর্জনার গাড়িগুলিতে থাকবে জিপিএস সিস্টেম। প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy