Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বুথে গিয়েও ভোটার তালিকা দেখতে না পাওয়ার নালিশ

জেলায় নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আগ্রহী অন্তত ২৫ হাজার ভোটার। রবিবার জেলার প্রতিটি বুথে সাধারণ মানুষের কাছে ভোটার তালিকা দেখানোর কাজ করতে গিয়েই এমন তথ্য মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৪
Share: Save:

জেলায় নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আগ্রহী অন্তত ২৫ হাজার ভোটার।

রবিবার জেলার প্রতিটি বুথে সাধারণ মানুষের কাছে ভোটার তালিকা দেখানোর কাজ করতে গিয়েই এমন তথ্য মিলেছে। দেখা গিয়েছে, ফর্ম ৬ পূরন করে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আগ্রহী প্রায় ২৫৭০০ ভোটার। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ ওই সংখ্য বাড়বে বলেই আমাদের ধারনা। রবিবার যাঁরা ৬ নম্বর ফর্ম পূরন করেছেন, তাঁদের নামও ভোটার তালিকায় রাখা হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

রবিবার, ৯ মার্চ জেলার ৬৭৮৪টি বুথের প্রতিটিতেই ভোটার তালিকা পাঠ করে শোনানোর কথা ছিল। এই মর্মে জেলার সমস্ত স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসকের নামে। বলা হয়েছিল, ভোটারেরা বুথে গিয়ে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না তা জেনে নিতে পারবেন। শুক্রবার জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেছিলেন, “হাতে শুধু ভোটার বা এপিক কার্ড থাকলেই হবে না। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। তাই ভোটারদের এই তালিকা দেখে নেওয়া দরকার।” তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদের হিসেব অনুযায়ী ভোটারদের প্রত্যেকের নাম সচিত্র ভোটার তালিকায় রয়েছে। তবে এমনও হতে পারে, কিছু লোক একটা সময় জেলা ছেড়ে অনত্র্য থাকতে গিয়েছিলেন। এ বার ভোটের আগে তাঁরা ফিরে এসেছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের নাম তালিকাও নাও থাকতে পারে। ভোটারদের দায়িত্ব হল, সংশ্লিষ্ট বুথে গিয়ে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে কি না তা দেখে নেওয়া।”

প্রশাসনের তরফে শনিবার থেকেই মোবাইলে এসএমএস করে ভোটারদের বুথে গিয়ে নিজের ও পরিবারের অন্যদের নাম তালিকায় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়। তবে জেলার অনেক বুথেই উপস্থিত মানুষজন ভোটার তালিকা দেখতে পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্ধমানের শহরেও অনেকেই বুথে গিয়ে ও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে প্রশাসনের বুথ লেভেল বা বিএলওদের অফিসারদের দেখা পাননি বলে অভিযোগ।

তবে জেলাশাসক ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কিছু জায়গায় হয়তো বিএলওদের যেতে দেরি হয়েছিল। কিন্তু কোথাও তাঁরা যাননি এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিকল্প প্রশাসনের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে।” সৈকতবাবু বলেন, “আমাদের বিএলওরা কোথাও যাননি, এমন অভিযোগ মেলেনি। আমরা মানুষের সুবিধার জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দিয়েছিলাম। কেউ তো সেখানেও কোনও অভিযোগ করেননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

voter list burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE