ছ’পাড়, মিসকলের পর তাঁতের শাড়ির বাজারে এ বার কালনার ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়ের তাঁতিদের নতুন সংযোজন ‘বাম্পার’। তাঁতিদের দাবি, শাড়িটির প্রধান আকর্ষণ রঙের ব্যবহার।
কথিত রয়েছে, প্রধানত মুঘল বাদশা জাহাঙ্গিরের আমল থেকেই ঢাকাই জামদানি শাড়ির কদর। ব্রিটিশ ভারতে বাংলার তাঁতকে মনে করা হত ম্যাঞ্চেস্টারের কাপড় শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রধানত, ১৯৪২ সাল থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে একদল তাঁত শিল্পী কালনায় চলে আসেন। তখন থেকেই বাজারে কালনার শাড়ির সুনাম।
‘বাম্পার’ বাজারে আসতেই ওই শাড়ির চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে বলে জানা গেল। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের ডিজাইনার অজিত বসাক জানান, সিল্ক ও পলেস্টরা সুতো দিয়ে তৈরি ‘বাম্পার’ শাড়িতে রয়েছে ডবল জ্যাকেটের নকশা। রয়েছে ঢাকাই জামদানি-র কাজও। দু’খানা বাম্পার শাড়ি কিনে বাড়ি ফেরার পথে অনিন্দিতা সেন বলেন, “শাড়িটির নকশায় দুই বাংলার ছোঁয়া রয়েছে। এবারের অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলী এই শাড়ি পরেই দেব।” ৮৪ কাউন্ট সুতোয় তৈরি শাড়িটির রঙের ব্যবহারও ক্রেতাদের মনে ধরেছে। শাড়িটির আঁচল ও কুচিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক রকমের রং। শাড়ির বাকি অংশে ব্যবহার করা হয়েছে অন্য রং। রঙের ব্যবহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বৈপরিত্যকেই। কয়েকটি শাড়িতে আবার ব্যাবহার হয়েছে দু’য়ের বেশি রঙের সুতো। শাড়ির নকশায় রয়েছে অজস্র লতার কাজ। শাড়ির এই রকম নকশার কারণ সম্পর্কে জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত তাঁতি সুরেশ বসাক বলেন “গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে ক্রেতারা গোটা শাড়ি জুড়ে নকশা পছন্দ করছেন। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এই শাড়িতে রং ও নকশায় জোর দেওয়া হয়েছে।”