তেলের গুদামের আগুন দেখে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল আশপাশের বাসিন্দাদের। আগুনের গ্রাস থেকে কীভাবে ঘর বাঁচাবেন সেই চিন্তাতেই বুধবার সকাল থেকে ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন গলিগ্রামের অমর পালেরা। বৃহস্পতিবার, ঘটনার একদিন পরেও তাঁদের চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। বারবার ওই গুদামে বেআইনি তেল মজুত করা হত, কারও নজরদারি ছিল না বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। আবার পরক্ষণেই বলছেন, আগুন আরও ছড়িয়ে গেলে কী হতো।
গলসির ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উঁচু পাঁচিলে ঘেরা ওই গুদামে অবৈধ উপায়ে তেল মজুত করা হতো। এমনকী ওই গুদামের মালিক রেজাউল চৌধুরী ট্যাঙ্কার থেকে ডিজেল বের করে তাতে কেরোসিন মিশিয়ে ভেজাল তেল বাজারে বিক্রি করতেন বলেও তাঁদের দাবি। বেশ কিছু ট্যাঙ্কার চালক এতে জড়িত রয়েছেন বলেও গ্রামবাসীদের দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা কর্তিক চৌধুরী বলেন, “২০০১ সালে একবার ওই অবৈধ তেলের ডিপোতে আগুন লেগেছিল। সে বার আগুনে পুড়ে তিনজন ডিপোর ভেতরে মারাও গিয়েছিলেন। তারপরে ওই ডিপো মালিকের তিন মাসের জেলও হয়। ডিপোটিও বন্ধ করে দেয় পুলিশ।” কিন্তু তারপরেও ফের ডিপো খুলে ব্যবসা শুরু হল কীভাবে সে প্রশ্নও উঠছে।
গলসি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই গলিগ্রাম থেকেই রেজাউল চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে রেজাউলের দুই আইনজীবি বিশ্বজিৎ দাস ও কমল দত্তের দাবি, “পুলিশ ওই ডিপো সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে রেজাউল চৌধুরীকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু সিজেএম আদালতের বিচারক মনে করেছেন, নিজেদের হেফাজতে চাইবার মতো যথেষ্ট তথ্য পুলিশের আবেদনে নেই। তাই ওই ব্যক্তিকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে শনিবার মামলার সিডি চেয়েছেন সিজেএম।”