চেক জাল করে হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠল কালনায়। তবে যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চেকটি ভাঙাতে দেওয়া হয়, সেই ব্যাঙ্কের তত্পরতায় শেষ পর্যন্ত টাকা খোওয়া যায়নি। ঘটনায় উদ্বিগ্ন কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার সপ্তাহখানেক আগে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। তবে এখনও কাউকে ধরেনি পুলিশ।
কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি থেকেই হাসপাতালের সমস্ত টাকা লেনদেন হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইকে ফোন করে জানান, হাসপাতালের তরফে এমন দুটি চেক এসেছে যাতে টাকার পরিমাণ ১৭ লক্ষেরও বেশি। তার মধ্যে ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬২৭ টাকার একটি চেক তারা ছেড়েও দিয়েছেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথা শুনে সুপার আকাশ থেকে পড়েন। সাফ জানিয়ে দেন, হাসপাতাল কোনও বড় অঙ্কের চেক দেয়নি। এরপরেই হৈ চৈ শুরু হয়ে যায় ওই ব্যাঙ্কে। তবে সে দিনই যেহতু হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছিল তাই ব্যাঙ্ক টাকা ফেরতও করে দেয়। অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্যে লিখেও দেওয়া হয় জালিয়াতির কথা।
তবে প্রতারণার এমন ধরন মহকুমায় নতুন নয় বলে পুলিশের দাবি। বছর খানেক আগে বিনায়ক সামন্ত নামে মন্তেশ্বরের এক ব্যবসায়ির কাছ থেকেও একটি একশো টাকার চেক নিয়ে তারপর সেই চেক ভাঙিয়ে মোটা টাকা তুলেছিল প্রতারকেরা। বিনায়কবাবু মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। যদিও এখনও সেই ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়নি কাউকে।