দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই লক্ষ্মীপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে খনি ও শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা।
কোথাও ঘরোয়া ভাবে, আবার কোথাও সর্বজনীন-বিভিন্ন ভাবে পুজিত হচ্ছেন দেবী লক্ষ্মী। অন্ডালের দক্ষিণখণ্ড গ্রামের মুখোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মীপুজো এ বছর ৪৪ বছরে পড়ল। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দক্ষিণখণ্ড পল্লি উন্নয়ন সমিতি। নামে বাড়ির পুজো হলেও এই পুজো আসলে সর্বজনীন। এ বারের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের আদলে। পল্লি উন্নয়ন সমিতির সদস্য উদয়কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখোপাধ্যায় বাড়িতে ওই পরিবারের পরিচালনায় কয়েক দশক লক্ষ্মীপুজো হওয়ার পরে মুখোপাধ্যায় পরিবারের সম্মতিতেই গ্রামের পল্লি উন্নয়ন সমিতি পুজোর দায়িত্ব নেয়। সেই থেকেই গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ এই পুজোয় যোগ দেন। লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে এখানে মেলা বসে। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দক্ষিণখণ্ডের অদূরেই খান্দরা গ্রামে সিংহ বাড়ির লক্ষ্মীপুজোর বয়স প্রায় ১৫৮ বছর। পরিবারের সদস্যরা জানান, এই পুজো শুরু করেছিলেন তাঁদের পূর্বপুরুষ সুধাকৃষ্ণ সিংহ। এটি গ্রামের একমাত্র লক্ষ্মীপুজো। এই বাড়ির পুজোয় লক্ষ্মী প্রতিমার দু’পাশে একটি করে পরীর মূর্তি রাখা হয়। সিংহ পরিবারের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি অনুপ সিংহ বলেন, “পুর্বপুরুষদের কাছে শুনেছি সুধাকৃষ্ণবাবু মুর্শিদাবাদের কান্দি থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছিলেন। গ্রামে লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন না থাকায় কারণেই তিনি এই পুজো শুরু করেছিলেন।” পুজোর পরে এখানেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। খান্দরা গ্রামের বাসিন্দা বুধো সরকারের দাবি, “সিংহবাড়ির পুজো মণ্ডপ এলাকার শিল্পীদের প্রতিভা প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠেছে।”