গাড়ির উপরে গরম পিচ ভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে বর্ধমানের রথতলায় সাত জনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ফের পরপর চারটি দুর্ঘটনা ঘটল বর্ধমানের নানা প্রান্তে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক জন। জখম ২২ জন।
এ দিন সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে, গলসির রাকোনায়। পুলিশ জানায়, রাস্তা পেরোচ্ছিল একটি ট্রেলার। আচমকা বেনাচিতিগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ওই ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারে। জখম হন ১০ জন বাসযাত্রী। কয়েক জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাথায় চোট পাওয়া এক যাত্রী বলেন, ‘‘বাসের কেবিনে বসেছিলাম। ট্রেলারটি রাস্তা পের হচ্ছে দেখেও বাসটি দূরন্ত গতিতে ছুটে গিয়ে ধাক্কা মারে।’’ পুলিশ জানায়, বাসের চালক ও খালাসি পলাতক।
যানবাহনের বেপরোয়া গতির জেরে এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ ওই রাস্তার উপরেই একটি দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এ দিন লাকুরডির কাছেই গাড়ি়র সার্ভিসিং করিয়ে ফিরছিলেন হুগলির তারকেশ্বর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌরভ মণ্ডল (২১)। এ দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন আরামবাগের বাসিন্দা সুব্রত পাল। দুর্ঘটনায় জখম হন সুব্রতবাবু। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌরভবাবুর। শ্যামা অধিকারি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ‘‘গাড়ির গতি ছিল কমপক্ষে ১২০-১৩০ কিলোমিটার।’’ হাসপাতালের বেডে শুয়ে সুব্রতবাবুর যদিও দাবি, ‘‘গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। সার্ভিসিংয়ের গোলামালেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’
এ ছাড়াও দু’টি যাত্রীবাহী গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় জখম হলেন সাত জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের উপর ভাতারের নর্জা মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলকোটের দেউলিয়া গ্রামেও চার জন দুর্ঘটনায় জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “বেপরোয়া গাড়ি চালালে জরিমানা, লাইসেন্স বজেয়াপ্ত করা হয়।” এ দিনই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহণ-সহ নানা অনিয়ম রুখতে নজরদারি চালায় গলসি থানা। বর্ধমানের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক মহম্মদ আবরার আলম বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy