Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Gang Rape

Gang Rape: আদিবাসী বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দুই

পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে অশোক ঠাকুর এবং অশোক দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের শণাক্তকরণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন বর্ধমান শহরের ওই বধূ।

অভিযুক্তদের শণাক্তকরণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন বর্ধমান শহরের ওই বধূ। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১০
Share: Save:

সঙ্গীসাথী মিলে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে এক আদিবাসী বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ছ’জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে টোটোচালক-সহ দু’জনকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ২২ অক্টোবর ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে অশোক ঠাকুর এবং অশোক দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় টোটোচালক অশোক ঠাকুরের বাড়ি বর্ধমান শহরের লোকো আমবাগান এলাকায়। অপর জন তিনকোনিয়ার গুডস শেড রোড এলাকার বাসিন্দা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই বধূ চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশ। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই বয়ানের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শণাক্তকরণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন ওই বধূ। সোমবার বর্ধমান সংশোধনাগারে ধৃতদের টিআই প্যারেড করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বধূ বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর চারখাম্বা এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি গলসির নোয়া সন্তোষপুরের তাঁর বাপেরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে বর্ধমান স্টেশনে আসেন। সেখানে এক পরিচিতের কাছে জানতে পারেন, কাজকর্ম সেরে তখনও বাড়ি ফেরেননি তাঁর স্বামী। স্বামীর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মিষ্টির দোকানের বাইরে বসেছিলেন তিনি। এ দিকে শেষ বাস চলে যাওয়ায় বাপেরবাড়িও ফিরতে পারেননি। অভিযোগ, সে সময় এক যুবক এসে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সে। এর পর ফোন করে সঙ্গীসাথীদের ডাকে ওই যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও চার জন হাজির হয়। এর পর জোর করে একটি টোটোয় চাপিয়ে জেলখানা মোড় এলাকার একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় বধূকে। সেখানে পর পর ছ’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বধূকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা।

ওই বধূর দাবি, ঘটনার পর ঘর থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি শুরু করায় এক রিকশাচালক তাঁকে হাসপাতালের কাছে ফেলে দিয়ে চলে যান। স্থানীয় হোটেলকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করে মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ধৃতদের পরনের জামাকাপড়-সহ বধূকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যবহৃত টোটোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, ‘‘বর্ধমানে শহরে মহিলাদের যে নিরাপত্তা নেই এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’’ তবে বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সবেতেই রাজনীতি খোঁজা ভুল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gang Rape Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE