নিজস্ব চিত্র।
জরাজীর্ণ স্কুলবাড়ির বয়স ১২৭ বছর। 'হেরিটেজ' তকমাও দিয়েছে সরকার। কিন্তু দীর্ঘ দিন কোনও সংস্কার হয়নি। বাড়িটি একাংশ ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ‘নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউট’ স্কুলবাড়ির মেরামতির দাবিতে সরব হলেন ওই স্কুলের প্রাক্তনীরা। শুধু তাই নয়, তাঁরা লক্ষাধিক টাকা জোগাড়ের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিগত ১০ বছর ধরে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলাশাসক, এমনকি রাজ্যস্তরেও একাধিক বার স্কুলটির সংস্কার করার আবেদন জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুল-ভবনের ৪০ শতাংশ ভেঙে গিয়েছে। তাও সংস্কারের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মদনমোহন ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন প্রাক্তনীরা। প্রাক্তনী অনিন্দ্য দাস বলেন, স্কুলবাড়ির সংস্কারের জন্য প্রাক্তনীরা ২ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছেন, তা প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে আসা হয়েছে। আরও কিছু অর্থ জোগাড় করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন প্রাক্তনীরা। সেটি যাতে ইমেল মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তারও আবেদন জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘শুনেছি। কী ভাবে স্কুলবাড়ির সংস্কার করা যায়, তা খতিয়ে দেখছি।’’
১৮৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন স্তর পর্যন্ত পড়ানোর অনুমোদন পায় এই স্কুলটি। তখন স্কুলের নাম ছিল ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন। পরে ১৯৩০ সালে কালাজ্বরের ওষুধের আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচা্রীর বাবা নীলমণি ব্রহ্মচারীর নামে ওই স্কুলের নামকরণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy